কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি জামায়াতসহ ৮ দলের

অনলাইন ডেস্ক
০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২২:২৯
শেয়ার :
কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি জামায়াতসহ ৮ দলের

জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা ৮টি দলের নেতারা বলেছেন, গণভোট জাতীয় নির্বাচনের আগেই হতে হবে। এই দাবি মেনে নেওয়া না হলে আগামী ১১ নভেম্বর জনসভা থেকে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

শনিবার (৮ নভেম্বর) জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) ঢাকা মহানগর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আট দলের লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

অবিলম্বে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি ও জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটসহ পাঁচ দফা দাবিতে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে বলেও বৈঠকে জানানো হয়েছে।

বৈঠকে নেতারা বলেন, ‘আমরা আলোচনায় বসার জন্য বিএনপিসহ সবাইকে আহ্বান জানিয়েছি কিন্তু বিএনপি আমাদের আহ্বানে আলোচনায় বসতে রাজি নয়। তাহলে বিএনপি আহ্বান জানাক, দেশ জাতি জনগণের স্বার্থে আমরা আলোচনায় অংশ নেব। কিন্তু কালক্ষেপণ করে গণভোটকে জাতীয় নির্বাচনের দিন নেওয়ার চেষ্টা করে কোনো লাভ হবে না। গণভোট জাতীয় নির্বাচনের আগেই অনুষ্ঠিত হতে হবে। জনগণের দাবি মেনে নেওয়া না হলে আগামী ১১ তারিখ আমাদের জনসভা থেকে কঠোরতম কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’

জাগপা সহসভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধানের সভাপতিত্বে আট দলের লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠকে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন্দ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব আতাউল্লাহ আমিন, খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমির সাখাওয়াত হোসাইন ও যুগ্ম মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সাল, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মুসা বিন ইজহার চৌধুরী ও সিনিয়র নায়েবে আমির আব্দুল মাজেদ আতাহারী, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব ইউসুফ সাদেক হাক্কানি ও নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান হামিদী, জাগপা সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবু নাসের নূর নবী জনি ও অর্থ সম্পাদক রিয়াজ হোসাইন।

আন্দোলনরত দলগুলোর পাঁচ দফা দাবি হলো, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি এবং ওই আদেশের ওপর জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে/উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু, অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণ, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।

আমাদের সময়/জেএইচ