বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়ন স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে সমাবেশ
মাদারীপুর-১ (শিবচর) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী কামাল জামান মোল্লার মনোনয়ন স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে হাজারো নেতা, কর্মী ও সমর্থকদের অংশ গ্রহনে এক বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বিকেল ৪টা থেকে শুরু হওয়া এ সমাবেশ চলে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত। সমাবেশে আগতরা অবিলম্বে বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়ন স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দকে প্রতি অনুরোধ করেন।
জানা যায়, গত সোমবার (৩ নভেম্বর) সারাদেশ ২৩৭ টি আসনে মনোনয়ন চুড়ান্ত করে বিএনপি। এর মধ্যে মাদারীপুর-১ (শিবচর) আসনে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কামাল জামান মোল্লাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। এর পরদিন মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অনিবার্য কারণ দেখিয়ে মাদারীপুর-১ (শিবচর) আসনের মনোনয়ন স্থগিত করেন।
এই মনোনয়ন স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে জাতীয় সিপাহী বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে শুক্রবার বিকেলে শিবচর পৌরসভার হাতির বাগান মাঠে এক বিশাল সমাবেশের আয়োজন করে কামাল জামান মোল্লা সমর্থকরা।
দুপুরের পর থেকেই বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে নেতা কর্মী ও সমর্থকরা সমাবেশস্থলে জড়ো হতে শুরু করেন। সমাবেশস্থলে হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থকদের উপস্থিতি ঘটে। সন্ধা ৭ টা পর্যন্ত সমাবেশ চলে।
সমাবেশে বিএনপি নেতা কামাল জামান মোল্লা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এসময় উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন খান, যুগ্ম আহ্বায়ক শাহজাহান সাজু মোল্লা, সদস্য মাহবুব রহমান, শহিদুল ইসলাম, পৌরসভা বিএনপির সদস্য সচিব মো. আজমল হোসেন খান সেলিম প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কামাল জামান মোল্লা বলেন, ‘আমার নেতা দেশ নায়ক তারেক রহমান বলেছিলেন যারা বিগত ফ্যাসিষ্ট সরকারের আমলে জেল খেটেছেন, জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তাদেরকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে। তিনি তার কথা রেখেই আমাকে দল থেকে মনোনয়ন দিয়েছেন। কিন্তু কুচক্রি মহলের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে আমার মনোনয়ন স্থগিত করা হয়েছে। কোনো ষড়যন্ত্রই আমাকে রুখতে পারবে না। আমার বিশ্বাস আমার মনোনয়ন স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে দল আমাকে পুনরায় মনোনয়ন দেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা প্রস্তুত থাকুন, ধানের শীষে ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দিতে।’
আমাদের সময়/আরআর