জামালপুরে অসময়ে নদী ভাঙন, হুমকিতে দেড় শতাধিক পরিবার
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় অসময়ে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। উপজেলার চিনাডুলী ইউনিয়নের যমুনা নদীর শাখা কাটাখালি নদীতে হঠাৎ করে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ ভাঙন। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন নদী পাড়ের প্রায় দেড় শতাধিক পরিবার। প্রতিদিনই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে বসতভিটা, ফসলি জমি, গাছপালা ও জীবিকার অবলম্বন।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকালে সরেজমিনে জানা গেছে, গত কয়েক দিনে ওই এলাকার ফসলি জমি, ঘরবাড়ি হারিয়েছে অনেকেই। ঝুঁকিতে রয়েছেন আরও বহু বসতবাড়িসহ ফসলি জমি। নদীর পানি কমে গেলেও ভাঙনের তীব্রতা দিন দিন বাড়ছে। ফলে আতঙ্কে দিন কাটছে নদী পাড়ের বাসিন্দাদের। শীত আসার আগমুহূর্তে এই অসময়ের ভাঙনে মানবিক বিপর্যয়ে পড়েছেন তারা।
চিনাডুলী গ্রামের কৃষক আবদুল মালেক বলেন, ‘ভাঙনে আমার তিন বিঘা জমি আর বাড়ির অর্ধেক নদীতে চলে গেছে। সরকার যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে সবই নদীর গর্ভে চলে যাবে।’
স্থানীয় শিক্ষক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতি বছরই ভাঙনের ভয় নিয়ে থাকতে হয়। এবার হঠাৎ করেই অসময়ে নদী ভাঙতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে ফসলি জমি ঘরবাড়ি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন অনেকেই। আমরা চাই দ্রুত এ ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’
চিনাডুলী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম বলেন, ‘ভাঙনের খবর পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছে। তাদের অনুরোধ করে জানিয়েছি ভাঙনরোধে দ্রুত বালুভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং করার জন্য।’
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জামালপুর জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নকিবুজ্জামান খান বলেন, ‘বিষয়টি আমরা শুনেছি ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করে, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তৌহিদুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। আশা করছি দ্রুতই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
আমাদের সময়/আরডি
