সুদানে যুদ্ধবিরতিতে রাজি আরএসএফ
দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পর যুক্তরাষ্ট্র এবং আরব দেশগুলোর পরামর্শ মেনে মানবিক যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে সুদানের আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস বা আরএসএফ। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) একটি বিবৃতিতে এ কথা জানায় তারা।
গত দুই বছর ধরে সুদানের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে রক্তক্ষয়ী সংঘাতে জড়িয়ে আছে আরএসএফ। এর আগেও একাধিক সংঘাতবিরতিতে তারা রাজি হয়েছে। তবে কোনোটাই শেষ পর্যন্ত স্থায়ী হয়নি।
নতুন বিবৃতিতে আরএসএফ জানায়, ‘সুদানের সাধারণ মানুষের স্বার্থে র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের কোয়াড দেশগুলির প্রস্তাবিত শান্তি চুক্তি মানবে।’ যুক্তরাষ্ট্র মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং সৌদি আরব এই কোয়াডের অন্তর্গত।
এর আগে দারফুরের পশ্চিমে দুর্ভিক্ষপীড়িত এল-ফাশের শহরটি আধাসামরিকবাহিনীর হাতে চলে যায়। তার দুই সপ্তাহের মধ্যেই এই বিবৃতি প্রকাশ করে তারা।
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের আফ্রিকা উপদেষ্টা মাসাদ বুলোস এই সপাহের গোড়ার দিকে জানান, আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস এবং সামরিক বাহিনী দুই পক্ষই তিন মাসের শান্তিচুক্তিতে রাজি হয়েছে।
আরএসএফ বিবৃতিতে দিয়ে এই চুক্তি মানলেও সামরিক বাহিনী এখনো এবিষয় কিছু জানায়নি। এর আগে সেনাপ্রধান আবদেল ফাতাহ আল-বুরহান বলেন, তার সেনারা 'প্রতিপক্ষের পরাজয়ের' জন্য অপেক্ষা করছে।
এল-ফাশেরের উপর ক্রমাগত আক্রমণ চালিয়ে দারফুরের প্রায় অধিকাংশ এলাকা দখল করেছে আরএসএফ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন জানিয়েছে, স্থানীয় হাসপাতালে প্রায় ৪৫০ মানুষকে মেরেছে আরএসএফ। এছাড়াও বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষদের মারা হয়েছে এবং যৌন নির্যাতন চালানো হয়েছে।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
বৃহস্পতিবার ইয়েল বিশ্ববিদ্যেলয়ের প্রকাশিত একটি রিপোর্টে স্যাটেলাইট ছবিতে গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে। এর থেকে ওই অঞ্চলে অত্যাচারের অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়। একাধিক মানবাধিকার সংগঠন সুদানে সাধারণ্য মানুষের উপর ঘটে চলা অত্যাচার নিয়ে সরব হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ওই অঞ্চলে কাজ করা ইসলামিক রিলিফ জানিয়েছে, তাদের স্থানীয় কমিউনিটি রান্নাঘরগুলি প্রায় বন্ধ হতে বসেছে। এই রান্নাঘরগুলি অঞ্চলে বহু পরিবারের মুখে খাবার তুলে দেয়। ডাক্তারদের সংগঠনও তাওইলা, কুর্মা এবং গোলো অঞ্চলের আশ্রয় শিবিরগুলির খারাপ চেহারার কথা তুলে ধরেছে। এই অঞ্চলগুলিতে প্রচুর মানুষ আশ্রয় নিতে আসছেন।