এ জয় উদার ও বহু সংস্কৃতির
নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে মামদানির জয় পাওয়ার প্রসঙ্গে যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের মুসলিম মেয়র সাদিক খান বলেছেন, এটি ‘উদার, প্রগতিশীল ও বহু সাংস্কৃতিক’ রাজনীতির জয়। ভোটাররা ‘ভয় ও বিভক্তি’ উপেক্ষা করে সংখ্যালঘু ধর্ম ও জাতিগত সম্প্রদায়ের প্রার্থীকে মেয়র নির্বাচিত করেছেন।
সাদিক খান বলেন, ‘আমাদের প্রতিপক্ষরা আমাদের ধর্মকে ব্যবহার করে আমাদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছেন। এ জন্যই আমি লন্ডনের মানুষদের গর্বিত বলে মনে করি। তাঁরা বারবার আমাকে নির্বাচিত করেছেন। একইভাবে নিউইয়র্কের মানুষ জোহরানকে নির্বাচিত করেছেন।’
সাদিক খান রিও ডি জেনিরোতে আন্তর্জাতিক মেয়রদের সম্মেলন থেকে বলেন, মামদানির প্রচার ছিল ‘ভয়কে জয় করার ও বিভাজনের ওপর ঐক্য প্রতিষ্ঠার’ প্রতীক। তিনি অভিযোগ করেন, এই ডেমোক্র্যাট প্রার্থীর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা তাঁর নীতির সমালোচনা করার বদলে ‘মুসলিমবিরোধী ঘৃণা’ ব্যবহার করেছেন।
আরও পড়ুন:
৬০০ দিন পর কারামুক্ত কাশ্মীরের সাংবাদিক
সাদিক খান আরও বলেন, লন্ডন ও নিউইয়র্কে সংখ্যালঘু মুসলিম প্রার্থীদের ভোট না দিতে মানুষকে ভয় দেখানোর চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে তাঁকে ‘লন্ডনের মুসলিম মেয়র’ হিসেবে পরিচিত করা হলেও তিনি মনে করেন, ধর্ম ‘তাঁর রাজনীতির ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক নয়’। তিনি বলেন, ‘আমি একজন মেয়র, মুসলিমও বটে। জোহরানও ঠিক তা-ই।’
সাদিক খান নিজেকে সমাজতান্ত্রিক বলে মনে করেন না। তবে তিনি সমাজতান্ত্রিক গণতন্ত্রের একজন সমর্থক। এটি ইউরোপে প্রচলিত একটি মতবাদ ও শক্তিশালী সামাজিক নিরাপত্তাব্যবস্থায় গুরুত্ব দেয়।
সাদিক খান বলেন, মামদানির জয় এবং নিউ জার্সি ও ভার্জিনিয়ার গভর্নর পদে ডেমোক্র্যাট প্রার্থীদের জয় দেখাচ্ছে যে ‘প্রগতিশীলরা লড়াইয়ে ফিরছেন’ এবং এটি বিশ্বের অন্যান্য রাজনৈতিক দলের জন্য শিক্ষণীয় হতে পারে।