দিল্লিতে দূতাবাস স্থায়ীভাবে কেন বন্ধ করল আফগানিস্তান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২৫ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০
শেয়ার :
দিল্লিতে দূতাবাস স্থায়ীভাবে কেন বন্ধ করল আফগানিস্তান

ভারতের দিল্লিতে আফগানিস্তানের দূতাবাসের কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দূতাবাসের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। দিল্লিতে আফগান দূতাবাসটি ভারতীয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে আফগানিস্তানের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির সরকার নিযুক্ত কর্মীদের দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছিল। খবর বার্তা সংস্থা এপি ও আনন্দবাজার পত্রিকার।

দূতাবাসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘ভারত সরকারের ধারাবাহিক অসহযোগিতার কারণে ২৩ নভেম্বর থেকে দূতাবাস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে দূতাবাসের স্বাভাবিক কার্জক্রম বন্ধ করার পর এবার এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো।’

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এখন আফগান প্রজাতন্ত্রের কোনো কূটনীতিক আর ভারতে নেই। রাষ্ট্রদূত ফরিদ মামুনদাজে ও দূতাবাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা নিরাপদে তৃতীয় দেশে চলে গেছেন। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, দিল্লিতে আফগান দূতাবাসের ভাগ্য এখন ভারত সরকারের ওপর নির্ভর করছে। এটি বন্ধ রাখা হবে নাকি তালেবানের ‘কূটনীতিকদের’ কাছে হস্তান্তর করা হবে, তা ঠিক করবে ভারত সরকার। আনন্দবাজার পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মূলত আফগান কূটনীতিকদের ভিসা পুনর্নবীকরণসহ গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলোয় নরেন্দ্র মোদি সরকারের তরফ থেকে ‘প্রত্যাশিত সাহায্য’ না মেলার কারণেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে আফগানিস্তান।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফে অবশ্য ‘অসহযোগিতা’র অভিযোগ খারিজ করা হয়েছে। বরং আফগান দূতাবাসের কর্তারাই একে একে ভারত ছেড়ে অন্যান্য দেশে আশ্রয় নিয়েছেন বলে মন্ত্রণালয়ের এক কর্তা জানিয়েছেন। পাশাপাশি গত দুই বছরে একাধিকবার দূতাবাসের অন্দরে তালেবান সমর্থক এবং বিরোধী কর্মীদের মধ্যে সংঘাতের পরিস্থিতি ঘটেছে বলেও তার দাবি।

২০২১ সালের আগস্টে আফগানিস্তানে ক্ষমতায় আসে তালেবান সরকার। তালেবান সরকারকে এখনো স্বীকৃতি দেয়নি ভারত। আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের আগে কাবুল থেকে নিজেদের কর্মীদের সরিয়ে নিয়েছিল ভারত। সেই থেকে আফগানিস্তানে কূটনৈতিক উপস্থিতি নেই দিল্লির।