ন্যাটোর বিরুদ্ধে নয়া ছক পুতিনের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২৫ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০
শেয়ার :
ন্যাটোর বিরুদ্ধে নয়া ছক পুতিনের

যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমাদের সামরিক জোট ন্যাটোকে ‘অস্থিতিশীল করে তুলতে’ রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন ‘নতুন ছক’ কেটেছেন বলে দাবি করেছে নিউজউইক। অনলাইন সংস্করণে এক প্রতিবেদনে মার্কিন সাময়িকীটি বলেছে, এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে গুটি হিসেবে ন্যাটোর নতুন সদস্য দেশ ফিনল্যান্ডকে ব্যবহার করছে রাশিয়া। ফিনিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অভিযোগ, রাশিয়ার সঙ্গে ফিনল্যান্ড সীমান্তে একটি অভিবাসী সংকট তৈরি করে দেশটিকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে মস্কো, যার স্পষ্ট প্রভাব পড়তে পারে ন্যাটো মিত্রদের ওপর।

সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নকে মোকাবিলা করার জন্য ১৯৪৯ সালে গঠিত হয়েছিল ন্যাটো। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন এ জোট শুরুতে ১২টি দেশ নিয়ে গঠিত হলেও, বর্তমানে এর সদস্য সংখ্যা বেড়ে ৩১। এ জোটে সদ্য অন্তর্ভুক্ত নতুন সদস্য ইউরোপের দেশ ফিনল্যান্ড। এই দেশের সঙ্গে রাশিয়ার ৮৩০ মাইল দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে।

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরুর আগে প্রতিবেশী দেশ ফিনল্যান্ডের সঙ্গে রাশিয়ার তেমন কোনো বিবাদের কথা শোনা না গেলেও এবার অভিযোগ উঠেছে, সদ্য ন্যাটো সদস্য হওয়া প্রতিবেশী এ দেশটিকে ব্যবহার করে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছেন পুতিন।

ফিনল্যান্ডের অভিযোগ, ইউক্রেন যুদ্ধকে ব্যবহার করে দুদেশের সীমান্তে একটি অভিবাসী সংকট তৈরি করে দেশটিকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে রাশিয়া।

ফিনল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কৌশলগত যোগাযোগ-বিষয়ক রাষ্ট্রদূত মিকো কিনুনেন নিউজউইককে বলেন, ফিনল্যান্ডের নর্ডিক প্রতিবেশী দেশ রাশিয়ার সঙ্গে একটি ছাড়া বাকি সব সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে হেলসিঙ্কি। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া ফিনল্যান্ডের ক্ষতি করতে চায় অথবা ক্ষতির চেষ্টা করতে এবং বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে, এটি স্পষ্ট।’

দেশটিতে প্রবেশের চেষ্টা করা আশ্রয়প্রার্থীদের সংখ্যা আশঙ্কাজনকহারে বেড়ে যাওয়ায়, গত সপ্তাহে রাশিয়ার সঙ্গে আটটি সীমান্ত ক্রসিংয়ের মধ্যে চারটিই বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে ফিনিশ কর্তৃপক্ষ। হেলসিঙ্কি বলেছে, ফিনল্যান্ড-রাশিয়া সীমান্তে এত সংখ্যক অভিবাসীকে ঠেলে দেওয়া একটি ইচ্ছাকৃত চক্রান্ত। তবে ফিনল্যান্ডের এ দাবি অস্বীকার করেছে মস্কো।

ওয়াশিংটন ডিসির থিংক ট্যাংক দ্য ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ার (আইএসডব্লিউ) বলছে, ফিনিশ সীমান্তে রাশিয়া যা করছে তা ‘স্পষ্টত হাইব্রিড যুদ্ধ কৌশল’, যা এর আগে ২০২১ সালে পোলিশ সীমান্তে রাশিয়া এবং বেলারুশ প্রয়োগ করেছিল; এবং এটি ‘সম্ভবত ন্যাটোকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে’ই করা হচ্ছে।