চট্টগ্রামের পাঁচ আসনে নতুন পাঁচটিতে পুরনোয় আস্থা

মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, চট্টগ্রাম
০৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:১৭
শেয়ার :
চট্টগ্রামের পাঁচ আসনে নতুন পাঁচটিতে পুরনোয় আস্থা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৬ আসনের মধ্যে বিএনপির ঘোষিত চট্টগ্রামের ১০টি আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এতে তুনলনামূলক নবীনরাই প্রাধান্য পেয়েছেন। পাঁচ আসনে অতীতে প্রার্থী হয়েছেন এমন প্রার্থীদের ওপর আস্থা রাখলেও পাঁচ আসনে একেবারে নবীন প্রার্থী দেওয়া হয়েছে। ছয় আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হবে দ্বিতীয় ধাপে।

যে পাঁচ আসনে বিএনপি প্রবীণের ওপর আস্থা রেখেছে, সেগুলো হলো- চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-পাহাড়তলী-হালিশহর-খুলশী) আসনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) আসনে উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও-পাঁচলাইশ ও বায়েজিদ (আংশিক) আসনে নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ, চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক এনাম ও চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনে সাবেক সংসদ সদস্য সরওয়ার জামাল নিজাম।

এর মধ্যে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১১ আসনে দলের প্রার্থী ছিলেন। এর আগে ১৯৯১ সালে তৎকালীন নির্বাচনী এলাকা-৮, (ডবলমুরিং, পাহাড়তলী, বন্দর) থেকে বেগম খালেদা জিয়া সংসদ সদস্য প্রার্থী হয়েছিলেন। ওই সময় আমীর খসরু বেগম জিয়ার সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীকালে একই বছরে নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রাম-৮ এর উপনির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আমীর খসরু সংসদ সদস্য হিসেবে একই এলাকা থেকে নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমীর খসরু পরাজিত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীর কাছে। ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিএনপি।

এরশাদ উল্লাহ বলেন, আমি মনে করি, আমার এই মনোনয়ন আমার একার না, এটা চট্টগ্রাম-৮ আসনের সব নেতাকর্মী এবং যাদের ত্যাগ আছে তাদের সবার মনোনয়ন। সব নেতাকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করব। আসনটি আমি চেয়ারপারসন ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসনকে উপহার দিতে চাই।

নতুন ৫ মুখ

চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সরওয়ার আলমগীর, চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড ও চসিকের ৯ ও ১০ নম্বর ওয়ার্ড) আসনে উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী সালাউদ্দিন, চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগ) ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হুম্মাম কাদের চৌধুরী এবং চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পাকে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এরা সবাই নতুন।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনটি একাদশ সংসদ নির্বাচনে শরিক দল কল্যাণ পার্টি ও চট্টগ্রাম-৭ আসনটি শরিক দল এলডিপিকে ছেড়ে দিয়েছিল বিএনপি। এ ছাড়া চট্টগ্রাম-২ আসনে কর্নেল আজিম উল্লাহ বাহার, চট্টগ্রাম-৪ আসনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা লায়ন আসলাম চৌধুরী এবং চট্টগ্রাম-১৬ আসনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন প্রয়াত জাফরুল ইসলাম চৌধুরী। অর্থাৎ একাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হলেও এবার বাদ পড়েছেন আজিম উল্লাহ বাহার ও আসলাম চৌধুরী।

ফটিকছড়িতে তৃণমূলের বিজয় হয়েছে উল্লেখ করে সরওয়ার আলমগীর বলেন, দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে ফটিকছড়ির আসনটি দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে উপহার দিতে চাই।

প্রার্থী ঘোষণা হয়নি ৬ আসনে

যেসব আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি, সেগুলো হলো- চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ), চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান), চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি-বাকলিয়া), চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা), চট্টগ্রাম-১৩ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া আংশিক) ও চট্টগ্রাম-১৫ (লোহাগাড়া-সাতকানিয়া আংশিক)।