অসম্পূর্ণ সনদেই থেমে গেল ঐকমত্য কমিশনের পথচলা
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে প্রথমে ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এসব কমিশন প্রদত্ত সুপারিশমালা বিবেচনা, গ্রহণ ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে সাত সদস্যের ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন’ গঠন করা হয়। এ কমিশন গত ৯ মাসে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করে জুলাই জাতীয় সনদ চূড়ান্ত করেছে। এ নিয়ে এরই মধ্যে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে দেশজুড়ে।
জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী ছাত্রদের গড়া দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সনদে এ পর্যন্ত স্বাক্ষর করেনি। এদিকে গত ৩১ অক্টোবর জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ শেষ হয়েছে। এখন কমিশনের জাতীয় সংসদ ভবনস্থ কার্যালয় গুটিয়ে নেওয়ার কার্যক্রম চলছে। এর মধ্যেই কমিশনের সদস্যরা দেশ-বিদেশে তাঁদের কর্মস্থলে ফিরে গেছেন।
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, নানাবিধ বিতর্ক সৃষ্টি করে এবং সনদ বাস্তবায়নের পন্থা অসম্পূর্ণ রেখেই থেমে গেছে ঐকমত্য কমিশনের পথচলা। কমিশনের আনুষ্ঠানিক মেয়াদ শেষ হলেও সার্বিক পরিস্থিতিতে আরও বড় রাজনৈতিক ও নৈতিক সংকটের আভাস দেখা যাচ্ছে।
এ বিষয়ে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক বলেন, ওনারা (ঐকমত্য কমিশন তথা সরকার) যে ধারণা নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলেন, সেটা ধারণাটাই ছিল ভুল। সব রাজনৈতিক দল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে একমত হলে ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক দলের অস্তিত্বের যৌক্তিকতাই থাকে না। এটা একদলীয় শাসন ব্যবস্থায় সম্ভব। ভিন্ন রাজনৈতিক দল থাকবে আবার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে একমত হবেÑ শুরুর এই ধারণাটাই ভুল ছিল। অতএব, ভুল ধারণা থেকে অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। শুরুর ধারণা যদি ভুল থাকে, তাহলে তো ঐকমত্য হবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব ধারণকারী কাউকে কমিশনের দায়িত্ব দেওয়া প্রসঙ্গে প্রবীণ এই আইনজীবী বলেন, ভিন্ন দেশের নাগরিক যাঁরা, তাঁদের বিশেষজ্ঞ হিসেবে আনা যায়। কিন্তু এও সত্যি যে, দেশের অনেক বাস্তবতা বিদেশে অবস্থান করে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে জানা-বোঝা যায় না। এ ক্ষেত্রে তেমনটাই ঘটেছে। এটাও একটা ভুল ধারণা ছিল যে, বিদেশি বিশেষজ্ঞ আমাদের দেশের জটিল বিষয় সম্পর্কে সবজান্তা হবেন। অনেকগুলো ভুল ধারণার বশবর্তী হয়েও পদক্ষেপগুলো নেওয়া হয়েছে।
গত ৯ মাসে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করে জুলাই জাতীয় সনদ চূড়ান্ত করে কমিশন। দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হবে, সেসব বিষয়ে সংস্কারের কথা বলা হয়েছিল প্রথমে। যদিও পরবর্তীতে ভিন্নমতের বিষয়গুলো যুক্ত করার কথা জানিয়ে ঐকমত্য কমিশন জানায়Ñ যদি কোনো প্রস্তাবে কোনো দল বা জোটের আপত্তি থাকে, তারা নোট অব ডিসেন্ট দিতে পারে। সেগুলো সংস্কার প্রস্তাবে উল্লেখ থাকবে। সেই মোতাবেক গত ১৭ অক্টোবর জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় বিএনপি-জামায়াতসহ ২৪টি দল সনদ বাস্তবায়নের অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করে। পরবর্তীতে বাস্তবায়নের সুপারিশসহ সনদের চূড়ান্ত কপি জমা দেয় ঐকমত্য কমিশন। কিন্তু সেখানে দলগুলোর দেওয়া নোট অব ডিসেন্টের উল্লেখ নেই। এ নিয়ে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো বলছে- এটা প্রতারণা, বিশ্বাসঘাতকতা।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
এ বিষয়ে ড. শাহদীন মালিক বলেন, বিএনপির অভিযোগটি গুরুতর। তারা বলেছে, যে দলিলে তারা স্বাক্ষর করেছে, আর যেটা চূড়ান্ত করা হয়েছে, দুটো ভিন্ন। ফলে এ প্রচেষ্টার নৈতিক যৌক্তিকতাও এখন আর নেই। এটির আইনগত ভিত্তি দেওয়াও কঠিন। অর্থাৎ, প্রচেষ্টা করাটাই যথার্থ হয়নি।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সহ-সভাপতি সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ। কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেনÑ জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সদস্য ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফররাজ হোসেন, নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান বিচারপতি এমদাদুল হক এবং দুদক সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান।
সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে ড. শাহদীন মালিকের নাম ঘোষণা করা হলেও পরে তিনি দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করেন। পরবর্তীকালে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী অধ্যাপক আলী রিয়াজকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়। ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করা অধ্যাপক আলী রীয়াজ যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনীতি ও সরকার বিভাগের ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর। তিনি বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেন। দেশে পড়াশোনা ও কিছুদিন অধ্যাপনার পর যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। বিদেশে বসে তিনি বাংলাদেশের একটি জাতীয় দৈনিকে কলাম লিখতেন। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর দেশে এসে সংবিধানবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। পরবর্তীতে ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি হিসেবে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে নেতৃত্ব দেন। কমিশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তাঁকে আর মিডিয়ার সামনে দেখা যায়নি। সূত্র মতে, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক এবং সম্প্রতি সেখানে ফিরে গেছেন। কবে আবার দেশে ফিরবেন কিংবা ফিরবেন কি না, সে বিষয়ে জানা যায়নি।
কমিশনের অন্যতম সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার। তিনি নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে পরবর্তীতে ঐকমত্য কমিশনের সদস্য হন। তিনি সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক। জানা গেছে, তিনিও বাংলাদেশের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। বর্তমানে তিনি দেশেই অবস্থান করছেন।
কমিশনের আরেক সদস্য ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। তিনি জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সদস্য ছিলেন। ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে স্বেচ্ছায় অবসরে যান তৎকালীন এ খাদ্য সচিব। যুদ্ধাপরাধ তদন্তে নিয়োজিত সংগঠন ‘ওয়ার ক্রাইম ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি’র (ডব্লিউসিএফএফসি) যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতা বিরোধীদের তালিকায় তাঁর নাম রয়েছে। ১/১১ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে এই কর্মকর্তাকে নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে বিস্তর লেখালেখি হয়। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই এ কর্মকর্তা ওএসডি হিসেবে সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ে নিযুক্ত ছিলেন। এর আগে তিনি খাদ্য ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
ঐকমত্য কমিশনের আরও এক সদস্য পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফররাজ হোসেন। তিনি ২০০৩ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র সচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। সরকারি চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর ২০০৯ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ইউএসএআইডির উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেন। এ ছাড়া তিনি ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির স্বতন্ত্র পরিচালক ও অডিট কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমানে তিনি দেশে অবস্থান করছেন।
সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমানকে প্রধান করে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন গঠন করে সরকার। কমিশনের সদস্য বিচারপতি এমদাদুল হককে পরবর্তীতে ঐকমত্য কমিশনের সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের পর ১৯৭৮ সালের ২০ নভেম্বর মুন্সেফ (সহকারী জজ) হিসেবে বিচার বিভাগে নিয়োগ পান। ১৯৯৫ সালে পদোন্নতি পেয়ে জেলা ও দায়রা জজ হন। ২০০৪ সালের ২৩ আগস্ট হাইকোর্টে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। ২ বছর পর ২০০৬ সালের ২৩ আগস্ট তিনি স্থায়ী হন। গত ১৯ নভেম্বর অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. এমদাদুল হককে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
কমিশনের আরেক সদস্য ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। তিনি দুদক সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৯১ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ড. ইফতেখারুজ্জামান বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ছিলেন এবং বর্তমানে একজন বোর্ড অব ট্রাস্টি। বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশন ত্যাগ করার পর ২০০৪ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি টিআইবিতে নির্বাহী পরিচালক হিসেবে যোগ দেন। এখনও এ দায়িত্ব পালন করছেন।
গত ফেব্রুয়ারিতে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মনির হায়দারকে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে সিনিয়র সচিব পদমর্যাদায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। বিশেষ সহকারী হিসেবে তিনি প্রধান উপদেষ্টার পক্ষে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের লক্ষ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও শক্তির সঙ্গে লিয়াজোঁ ও যোগাযোগ রক্ষা করেছেন। প্রতিটি সভায় তিনি অংশগ্রহণ করতেন। প্রথমে ছয় মাসের জন্য নিয়োগ দেওয়া হলেও পরবর্তীতে আগের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ধারাবাহিকতায় আগামী বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাঁকে নতুন করে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, তিনি বাংলাদেশের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। ২০০৪ সালের ৫ আগস্টের আগে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছিলেন। গত বছরের আগস্টে প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পর দেশে আসেন মনির হায়দার। তিনি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন।
২০২৪ সালের ১১ সেপ্টেম্বর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ছয়টি কমিশন গঠনের ঘোষণা দেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ৩ অক্টোবর অন্য পাঁচটি সংস্কার কমিশন গঠন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। কমিশনগুলো হচ্ছেÑ জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, পুলিশ সংস্কার কমিশন, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশন, সংবিধান সংস্কার কমিশন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন। এরপর ৬ অক্টোবর সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়। কমিশনগুলোর মেয়াদ প্রথমে ৯০ দিন নির্ধারণ করা হলেও পরে কয়েক দফায় বৃদ্ধি করা হয়।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি ছয়টি সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বিবেচনা ও জাতীয় ঐকমত্য গঠনের জন্য রাজনৈতিক দল ও শক্তির সঙ্গে আলোচনার দায়িত্ব দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন’ গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কাজ শুরু করা এ কমিশনের মেয়াদ ঠিক করা হয় ছয় মাস অর্থাৎ ১৫ আগস্ট পর্যন্ত। এরপর প্রথমবার এক মাস সময় বাড়িয়ে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করা হয়। সর্বশেষ, তৃতীয় দফায় মেয়াদ বৃদ্ধি করে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হয়, যা গত শুক্রবার শেষ হয়েছে।
গুটিয়ে নেওয়া হচ্ছে কমিশনের কার্যালয়
প্রাপ্ত তথ্য মতে, ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার প্রেক্ষিতে অচিরেই কমিশন বিলুপ্ত ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করতে পারে সরকার। কমিশনের জাতীয় সংসদ ভবনস্থ কার্যালয় গুটিয়ে নেওয়ার কার্যক্রম চলছে। গতকাল কমিশনের কোনো সদস্য অফিস করেননি।
সরেজমিন দেখা গেছে, রুমগুলো থেকে চেয়ার-টেবিল, সোফাসহ সংসদ সচিবালয়ের দেওয়া আসবাবপত্র গোছানোর কাজ চলছে। এ ছাড়া কম্পিউটারসহ ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রপাতিও খুলে গোছগোছ করা হচ্ছে। এগুলো আইন মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে বুঝিয়ে দেওয়া হবে। কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রিয়াজ ও কমিশনের সদস্য পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফররাজ হোসেনের কক্ষের সামনে নেমপ্লেট থাকলেও মনির হায়দারসহ অন্যদের কক্ষের সামনে কোনো নেমপ্লেট দেখা যায়নি।