মাদুরোর সময় ফুরিয়ে এসেছে
ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর দিন শেষ বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে তিনি ভেনেজুয়েলার সঙ্গে যুদ্ধের সম্ভাবনা খারিজ করে দিয়েছেন। সংবাদমাধ্যম ‘সিবিএসের ৬০ মিনিটস’ অনুষ্ঠানে ট্রাম্প এসব কথা বলেন। ট্রাম্প এমন সময় এসব বিষয় নিয়ে কথা বললেন, যখন ভেনেজুয়েলার উপকূলে সন্দেহভাজন নৌযানে একের পর এক হামলা করছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া সম্ভাব্য মার্কিন হামলার জন্য সামরিক মহড়াসহ নানা প্রস্তুতি নিচ্ছে মাদুরো সরকার। খবর বিবিসির।
‘সিবিএসের ৬০ মিনিটস’ অনুষ্ঠানে ট্রাম্পের কাছে জানতে চাওয়া হয়- ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ করতে যাচ্ছে কিনা? জবাবে ট্রাম্প বলেন, এ নিয়ে আমি সন্দিহান, আমার মনে হয় না; কিন্তু তারা আমাদের সঙ্গে অত্যন্ত বাজে আচরণ করছে।
যুক্তরাষ্ট্র স্থলপথে কোনো হামলার পরিকল্পনা করছে কিনা জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি এটি বলতে চাই না যে, আমরা কী করব ... আমি আপনাকে বলব না যে, আমি ভেনেজুয়েলার সঙ্গে কী করব; সেটা হতে পারে আমরা করব অথবা করব না।’
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
ভেনেজুয়েলার উপকূলে বিশ্বের সবচেয়ে বড় রণতরী মোতায়েন করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এতে রয়েছে দূর পাল্লার বোমারু বিমান বি-৫২। এর আগে মাদুরো অভিযোগ করেছিলেন, ওয়াশিংটন ‘একটি নতুন যুদ্ধ তৈরি করছে। অন্যদিকে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো বলেছেন, তথাকথিত মাদকবাহী নৌযানে হামলার মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র লাতিন আমেরিকায় আধিপত্য বিস্তার করছে।
চলতি বছর সেপ্টেম্বর মাস থেকে ক্যারিবীয় অঞ্চলে ভেনেজুয়েলার উপকূলে মাদকপাচার রোধে অভিযান শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি হামলায় অন্তত ৬৪ জন নিহত হয়েছেন। মানবাধিকার কর্মীরা এসব হামলার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এ ধরনের হামলাকে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হিসেবেও আখ্য দিয়েছে পর্যবেক্ষক মহল।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
ফ্লোরিডার মার-এ-লাগো বাসভবন থেকে ট্রাম্প বলেন- আপনি যে নৌকাগুলো বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনা দেখতে পান; তার আড়ালে কিন্তু এতে ২৫ হাজার মাদক ব্যবসায়ী নিহত হন এবং যেসব মাদকে আমাদের দেশের পরিবার ধ্বংস হয়ে যায়।
পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা সম্পর্কে ট্রাম্পের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘দেখুন যে কোনো দেশের তুলনায় আমাদের পারমাণবিক অস্ত্র বেশি রয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে রাশিয়া; চীন তৃতীয় স্থানে। তবে তারা অনেক দূরে আছে কিন্তু ৫ বছরের মধ্যেই তারা আমাদের অবস্থানে পৌঁছবে।’ ট্রাম্প বলেছেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ‘নিরস্ত্রীকরণ’ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, নিরস্ত্রীকরণ বড় বিষয়। আমাদের কাছে এমন পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে, যা দিয়ে বিশ্বকে ১৫০ বার ধ্বংস করা যাবে। রাশিয়ার হাতেও অনেক পারমাণবিক অস্ত্র আছে, চীনেরও অনেক হবে।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
নজরদারি বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, এটি প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ব। বিশেষ করে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র যখন প্রসঙ্গ হয়ে ওঠে। আমরা সব সময় তাদের ওপর নজর রাখছি, তারাও সব সময় আমাদের ওপর নজর রাখছে। আমি মনে করি, আমরা খুব মিলেমিশে আছি। তাদের হটিয়ে দেওয়ার বদলে, তাদের সঙ্গে কাজ করা আরও বড়, আরও ভালো।