৯৮ শতাংশ ভোট পেয়ে তানজানিয়ার প্রেসিডেন্ট সামিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৪:৫২
শেয়ার :
৯৮ শতাংশ ভোট পেয়ে তানজানিয়ার প্রেসিডেন্ট সামিয়া

নিরঙ্কুশ জয়ে তানজানিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন সামিয়া সুলুহু হাসান। শনিবার (১ নভেম্বর) প্রাথমিক ফলাফলে দেখা যায়, ৯৮ শতাংশ ভোট পেয়েছেন তিনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্বাচনের আগে প্রধান প্রার্থীদের জেলে পাঠানো অথবা প্রার্থীতা থেকে নিষিদ্ধ করা হয়। এতে দেশটিতে সহিংস বিক্ষোভের সূত্রপাত করেছে।

 এর মধ্যে রাষ্ট্রীয় টিভিতে প্রাথমিক গণনায় সামিয়া প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় ৯০ শতাংশেরও বেশি ভোট পেয়েছেন বলে দেখা গেছে। 

রাষ্ট্রীয় টিভি জানিয়েছে, শনিবার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।

প্রধান বিরোধী দল চাদেমা জানিয়েছে, বুধবার নির্বাচনের দিন বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে শত শত মানুষ নিহত হয়েছে। অস্থিরতা শুরু হওয়ার পর থেকে সামিয়া কোনও প্রকাশ্য বিবৃতি দেননি।

তার সরকার ‘অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ’ অস্বীকার করেছে। তবে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং দেশব্যাপী কঠোর লকডাউন ও কারফিউ জারি করা হয়েছে, যার ফলে কোনও তথ্য পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।

বুধবার ভোর থেকে সংবাদ ওয়েবসাইট আপডেট করা হয়নি এবং সাংবাদিকদের দেশে অবাধে কাজ করার অনুমতিও নেই।

জাতিসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেছেন, তানজানিয়ায় বিক্ষোভের সময় হতাহতের খবরসহ সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব ‘গভীরভাবে উদ্বিগ্ন’। 

চাদেমার একজন মুখপাত্র শুক্রবার জানিয়েছেন, হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য ক্লিনিকগুলো পরীক্ষা করে একটি নেটওয়ার্ক থেকে সংগৃহীত পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে ‘প্রায় ৭০০’ মানুষ নিহত হয়েছেন।

দারুস সালামের একজন নিরাপত্তা সূত্র ও কূটনীতিক উভয়ই এএফপিকে জানিয়েছেন, শুক্রবার বিক্ষোভ অব্যাহত থাকায় ‘শত শত’ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

সামিয়া তার অবস্থানকে দৃঢ় করতে এবং তার দলের সমালোচকদের মুখ বন্ধ করে দেওয়ার জন্য একটি জোরালো জয়ের চেষ্টা করেছিলেন। কর্তৃপক্ষ চাদেমাকে অংশগ্রহণ থেকে বিরত রাখে এবং তার নেতাকে রাষ্ট্রদ্রোহের জন্য বিচারের মুখোমুখি করে।

মানবাধিকার সংস্থাগুলো ভোটের পূর্ববর্তী দিনগুলোতে বেশ কয়েকজন উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিত্বকে অপহরণের কথা জানিয়েছে।

সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে সামিয়ার ছেলে আব্দুল হালিম হাফিদ আমিরের ওপর জনসাধারণের ক্ষোভের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, যার বিরুদ্ধে দমন-পীড়নের তত্ত্বাবধানের অভিযোগ রয়েছে।

কিন্তু সেনাপ্রধান জ্যাকব মাকুন্ডা বৃহস্পতিবার জোরালোভাবে সামিয়ার পক্ষে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভকারীদের ‘অপরাধী’ বলে অভিহিত করেছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ থাবিত কম্বো শুক্রবার বলেছেন, তার সরকারের কাছে কোনও মৃত ব্যক্তির ‘পরিসংখ্যান নেই’। তিনি আল জাজিরার সাথে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘বর্তমানে, কোনও অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করা হয়নি। এখন পর্যন্ত কোনও বিক্ষোভকারী নিহত হওয়ার কোনও সংখ্যা নেই।’