গাজা শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে তুরস্কে মুসলিম দেশগুলোর বৈঠক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০১ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:১১
শেয়ার :
গাজা শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে তুরস্কে মুসলিম দেশগুলোর বৈঠক

গাজায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করতে মুসলিম দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের একটি বৈঠক আয়োজন করছে তুরস্ক। আগামী সোমবার একটি বৈঠক আয়োজন করবে বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান। তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়। 

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) ফিদান সাংবাদিকদের বলেন, ইস্তাম্বুলে এই বৈঠকে ‘আমাদের অগ্রগতি মূল্যায়ন করা হবে এবং পরবর্তী ধাপে আমরা একসঙ্গে কী অর্জন করতে পারি তা নিয়ে আলোচনা হবে।’

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র জানান, বৈঠকে মিসর, ইন্দোনেশিয়া, জর্ডান, পাকিস্তান, কাতার, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

এ সব দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ২৩ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ফাঁকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন।

ফিদান এস্তোনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারগুস চাহকনার সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘একটি আশার আলো দেখা দিয়েছে, যা সবাইকে আশার আলো দেখাবে।’ তিনি বলেন, বৈঠকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা প্রয়োজন। এর বাস্তবায়নে কী বাধা রয়েছে? কী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে? পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে? আমরা আমাদের পশ্চিমা বন্ধুদের সঙ্গে কী আলোচনা করব? এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান আলোচনায় কী ধরনের সমর্থন রয়েছে?

ফিদান অভিযোগ করেন, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ‘যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অজুহাত খুঁজছেন এবং সারা বিশ্বের চোখের সামনে পুনরায় গণহত্যা শুরু করতে চাইছেন।’

তুরস্ক এক সপ্তাহ আগে গাজায় ৮১ সদস্যের দুর্যোগে সাড়াদানকারী দল পাঠিয়েছে। তারা উদ্ধার কার্যক্রমে সহায়তা করবে। তবে এখনও তারা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে প্রবেশের জন্য ইসরায়েলের অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানান ফিদান।

তিনি বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনও ‘জোরালোভাবে কাজ করে যাচ্ছে’ এবং তুর্কি সেনাবাহিনী যুদ্ধবিরতির তদারকির জন্য আন্তর্জাতিক বাহিনীতে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করছে।

তবে সোমবার ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিওন সার বলেন, ইসরাইলের প্রতি তুরস্কের ‘বৈরী মনোভাব’এর কারণে তাদের অংশগ্রহণ অনুমোদন করা যুক্তিযুক্ত হবে না।

সার বলেন, ‘তাদের সশস্ত্র বাহিনীকে গাজা উপত্যকায় প্রবেশ করতে দেওয়া যুক্তিযুক্ত নয় এবং আমরা এতে সম্মত হব না। আমরা আমাদের মার্কিন বন্ধুদেরও তা জানিয়েছি।’