শীতকালীন সবজিতে স্বস্তি, বেড়েছে আটার দাম

অনলাইন ডেস্ক
৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৫৭
শেয়ার :
শীতকালীন সবজিতে স্বস্তি, বেড়েছে আটার দাম

রাজধানীর বাজারগুলোতে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বেড়েছে। এতে সবজির দাম কিছুটা কমতির দিকে। তবে কাঁচাবাজারে ক্রেতাদের মনে স্বস্তি ফিরলেও মাছ-মাংস ও মুদিপণ্যের দামে তেমন কোনো হেরফের হয়নি।

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির দাম কেজিতে ২০-৩০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। 

বিশেষ করে শিম, ফুলকপি ও বাঁধাকপির দাম কমার কারণে অন্য সবজির দামও কমতির দিকে। এর প্রভাবে ডিম ও মুরগির বাজারেও কিছুটা স্বস্তির আভাস মিলছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শিম প্রতি কেজি ৬০-৮০ টাকায় মিলছে, যা দুই সপ্তাহের ব্যবধানে দাম প্রায় অর্ধেকে নেমেছে। প্রতি পিস ফুলকপি ও বাঁধাকপি মিলছে ৩০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে। মুলার কেজি ৪০-৬০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, গাজর (দেশি) ৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

সবজি ব্যবসায়ীরা বলছেন, বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় এবং উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম কমেছে।

কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা কবির বলেন, ‘পাইকারি বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বেড়েছে। দাম কমছে, আমরাও কম দামে বিক্রি করছি। ফলে ক্রেতারাও সহজে সবজি কিনতে পারছে।’

এদিকে ডিমের দাম ডজন প্রতি ১০ টাকা কমে ১২৫-১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৭০-১৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, যা এক সপ্তাহ আগেও ১৮০ টাকার বেশি ছিল। তবে সোনালি মুরগি ও গরুর মাংসের দাম আগের মতোই।

অন্যদিকে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মধ্যে পেঁয়াজ ৭৫-৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি মসুর ডালের দাম স্থিতিশীল থাকলেও আমদানি করা মসুর কেজিতে ৫-১০ টাকা কমে ৯৫-১০৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চিনির দাম সামান্য কমে ১০০-১০৫ টাকা।

বাজারে বেড়েছে আটার দাম। খুচরা পর্যায়ে কেজিতে আটার দাম ৫ টাকা বেড়েছে। 

বিক্রেতারা জানান, খোলা ও মোড়কজাত (প্যাকেট) উভয় ধরনের আটার দামই বেড়েছে। ঢাকার বিভিন্ন খুচরা দোকান থেকে দুই সপ্তাহ আগে মোড়কজাত আটা (দুই কেজি) কেনা যেত ১০৫-১১০ টাকায়। এখন তা বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়। আর খোলা আটার কেজি ৪৫ টাকা থেকে বেড়ে ৫০ টাকা হয়েছে।

এর আগে আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে আটার দাম এক দফা বেড়েছিল। তখন দুই কেজির মোড়কজাত আটা ৯০-৯৫ থেকে বেড়ে ১১০ টাকা হয়েছিল। খোলা আটার দাম বেড়ে হয়েছিল ৪৫-৪৮ টাকা। মাঝে আটার দামে ২-৩ টাকা ওঠানামা হয়।

চালের বাজারে দরদামে কিছুটা পরিবর্তন আছে। সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারিতে মঞ্জুর, সাগর, ডায়মন্ড ও আনোয়ার-এই চার ব্র্যান্ডের মিনিকেট চালের দাম কেজিতে এক-দেড় টাকা বেড়েছে। তবে খুচরা বিক্রেতারা আগের দামেই অর্থাৎ ৮০-৮২ টাকা কেজি এসব চাল বিক্রি করছেন। এ ছাড়া নাজির, পাইজাম প্রভৃতি চালের দাম আগের মতো রয়েছে।

খুচরা বিক্রেতারা জানিয়েছেন, খুচরা পর্যায়ে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বাড়েনি। তবে ডিলার পর্যায়ে দাম কিছুটা বেড়েছে। এতে বিক্রেতাদের কমিশনের পরিমাণ কমেছে। সপ্তাহ দুই আগে খুচরা বিক্রেতারা ডিলারের কাছ থেকে ৫ লিটারের এক বোতল সয়াবিন তেল কিনতেন ৮৯০-৮৯৫ টাকায়; বিক্রি করতেন ৯১৫-৯২০ টাকায়। এখন সেটি ৯০০-৯১০ টাকায় কিনে আগের দামে বিক্রি করছেন।

বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহও কিছুটা কম রয়েছে। অর্থাৎ কোম্পানিগুলো অথবা ডিলাররা বাজারে কম পরিমাণে তেল সরবরাহ করছেন।