বাড্ডা-রামপুরা সড়কে মেট্রো লাইনের কাজ শুরু, সময় নিয়ে বের হওয়ার অনুরোধ
বাড্ডা-রামপুরার প্রগতি সরণিতে আন্ডারগ্রাউন্ড মেট্রোরেল এমআরটি লাইন-১ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় থেকে এই কাজ শুরু হয়।
মেট্রো লাইনের কাজ শুরু হওয়া দিনভর যানবাহনের চাপে থাকা এ সড়কে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হতে পারে। এ রুটের জনসাধারণ ও যানবাহনচালকদের যথেষ্ট সময় হাতে নিয়ে বের হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড।
উল্লেখ,রামপুরা ব্রিজ থেকে নতুন বাজার পর্যন্ত সড়কের দুই পাশের দাপ্তরিক নাম ‘বীরউত্তম রফিকুল ইসলাম সরণি। তবে এটি প্রগতি সরষি নামেই বেশি পরিচিতি।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
মেট্রোরেলের নির্মাণ ও পরিচালনায় দায়িত্বে থাকা ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) বৃহস্পতিবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ অনুরোধ জানায়। এই মেট্রোরেলের কিছু অংশ উপরে এবং কিছু অংশ মাটির নিচ দিয়ে যাবে। পাতাল অংশ পড়েছে বিমানবন্দর, খিলক্ষেত, বাড্ডা, রামপুরা, মালিবাগ, রাজারবাগ, কমলাপুরের মধ্যে। এ রুটের বিদ্যমান সড়কের নিচ দিয়ে তৈরি হবে পাতাল রেলপথ। এর বেশির ভাগই মাটির ১০ থেকে ৩০ মিটার নিচ দিয়ে যাবে। তবে সবচেয়ে গভীরতম অংশ হবে মালিবাগ-রাজারবাগের মধ্যবর্তী এলাকা। এ অংশে মাটির ৭০ মিটার নিচ দিয়ে চলবে ট্রেন।
ডিএমটিসিএল সূত্রে জানা গেছে, ১ দশমিক ২৪১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের মেট্রোরেলটি বাস্তবায়নে খরচ প্রাক্কলন করা হয়েছে ৫২ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা। এর সিংহভাগই অর্থাৎ ৩৯ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা ঋণ হিসেবে দিচ্ছে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা)। দেশের যোগাযোগ অবকাঠামো খাতে টাকার অংকে এটিই হতে যাচ্ছে সবচেয়ে বড় প্রকল্প। লাইনটি অবশ্য দুটি অংশে বিভক্ত। একটি অংশ বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত, যাকে বলা হবে বিমানবন্দর রুট। দ্বিতীয় অংশ নতুন বাজার থেকে পিতলগঞ্জ ডিপো, যার নাম হবে পূর্বাচল রুট।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
বিমানবন্দর রুটের মোট দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৮৭২ কিলোমিটার। আর এ রুটেই দেশের প্রথম পাতাল বা আন্ডারগ্রাউন্ড মেট্রোরেল নির্মাণ হতে যাচ্ছে। মোট পাতাল স্টেশন হবে ১২টি। সেগুলো হলো বিমানবন্দর, বিমানবন্দর টার্মিনাল-৩, খিলক্ষেত, যমুনা ফিউচার পার্ক, নতুন বাজার, উত্তর বাড্ডা, বাড্ডা, হাতিরঝিল পূর্ব, রামপুরা, মালিবাগ, রাজারবাগ ও কমলাপুর। অন্যদিকে পূর্বাচল রুটের মোট দৈর্ঘ্য ১১ দশমিক ৩৬৯ কিলোমিটার। এর পুরোটাই হবে উড়াল এবং স্টেশন সংখ্যা ৯। যদিও নর্দ্দা ও নতুন বাজার স্টেশন দুটি বিমানবন্দর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ অনুরোধ জানায়।