গণভোট নিয়ে দ্রুতই সিদ্ধান্ত হবে: আসিফ নজরুল
আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘গণভোট নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে তীব্র বিরোধ দেখা যাচ্ছে। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা সিদ্ধান্ত নেবে। তবে খুব দ্রুতই ফয়সালা আসবে।’
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।
দলগুলোর এই অনৈক্য হতাশাজনক উল্লেখ করে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘২৭০ দিন আলাপ আলোচনার করার পর রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এই অনৈক্য হতাশাজনক। আগে বিষয়বস্তু নিয়ে বিরোধ ছিল। এখন গণভোট নিয়ে দ্বিমত তৈরি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দলগুলোও উত্তেজিত ভূমিকা পালন করছে।’
ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হবে জানিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, ‘কোনো রাজনৈতিক দল এককভাবে তাদের সিদ্ধান্ত সরকারের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে জুলাইয়ের চেতনা কোথায় থাকে? যে যা বলুক, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন হবে। তবে ভোটের পরিবেশ ঠিক রাখার দায়িত্ব শুধু সরকারের নয়, দলগুলোরও দায়িত্ব রয়েছে।’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেই ঐকমত্য নেই বলে মন্তব্য করে আসিফ নজরুল বলেন, ‘উনাদের (রাজনৈতিক দল) তো আসলে ঐকমত্য হয় নাই। কিছু ভাইটাল প্রশ্নে এর আগে আমরা জেনেছিলাম কন্টেন্ট নিয়ে বিরোধ ছিল, যে সংস্কার হবে সেই বিষয়বস্তু নিয়ে বিরোধ ছিল। এখন আবার দেখলাম আরও দুই ধরনের বিরোধ তৈরি হয়েছে; একটা হচ্ছে আপনার এটা (জুলাই সনদ) কী পদ্ধতিতে পাস করা হবে, আরেকটা হচ্ছে এই জন্য গণভোট হলে গণভোট কবে হবে।’
আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘এতদিন আলোচনার পর যদি আপনাদের ঐকমত্য না আসে, এখন আমরা আসলে কীভাবে কী করব এটা নিয়ে সত্যি আমাদের একটু চিন্তা করতে হচ্ছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর দেওয়া আল্টিমেটামের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘কোনো রাজনৈতিক দল যদি এককভাবে তাদের অবস্থান নেওয়ার জন্য আমাদেরকে আল্টিমেটাম বেঁধে দেয় বা জোর করে। তার মানে হচ্ছে উনাদের মধ্যে ঐকমত্য নাই এবং উনারা চাচ্ছেন উনাদের দলীয় পজিশনটা যেন এই সরকার সমুন্নত করে। এটা দুর্ভাগ্যজনক। উনাদেরকে তো যথেষ্ট আলোচনার সময় দেওয়া হয়েছে। উনারা যে অনৈক্য দেখাচ্ছেন, জুলাই স্পিরিটকে উনারা কোথায় নিয়ে গেছেন এটা উনাদের বিবেচনা করা উচিত।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমরা তো কমিশনের সুপারিশ নিয়েছি, সুপারিশটা আমরা কীভাবে বাস্তবায়ন করব সেখানে সরকারের স্বাধীনতা রয়েছে। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা সিদ্ধান্ত নেবেন।’
আমাদের সময়/এফএম