ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে ৫০ ভরি স্বর্ণালংকারসহ কোটি টাকার মালামাল লুট

বোয়ালমারী প্রতিনিধি
৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৭:৩৫
শেয়ার :
ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে ৫০ ভরি স্বর্ণালংকারসহ কোটি টাকার মালামাল লুট

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে ব্যবসায়ী নারায়ন চন্দ্র সাহার (৬৫) বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতদল ৪৫-৫০ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ পাঁচ লাখসহ কোটি টাকার মালামাল লুট করা হয় বলে ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ। 

বুধবার (২৯ অক্টোবর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের বড় গ্রামে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

পুলিশ, পরিবার ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, একদল ডাকাত দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ঘরের দড়জা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে নব দম্পতি সৌরভ সাহা (৩০) ও তার স্ত্রী পূজা সাহার (২২) হাত-পা ও চোখ বেঁধে ফেলে। এরপর ডাকাতদল বাড়ির দুটি ঘরের পাঁচটি রুমের সিন্দুক, আলমারির ড্রয়ার থেকে শুরু করে বিছানা পর্যন্ত তছনছ করে কমপক্ষে ৪৫-৫০ ভরি স্বর্ণালংকার এবং নগদ পাঁচ লাখ টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়।

সৌরভ সাহা বলেন, ‘আমি একজন ব্যবসায়ী, কয়েক মাস আগে বিয়ে করেছি। আমার বিয়ের স্বর্ণালঙ্কার, আমাদের বাপ-দাদার আমল থেকে জমানো স্বর্ণ এবং নিজেদের উপার্জিত টাকার স্বর্ণ, আমার বোনদের স্বর্ণ মিলিয়ে মোট ৪৫ থেকে ৫০ ভরির মতো স্বর্ণালংকার ডাকাতরা লুটে নিয়ে যায়। বর্তমানে আমাদের আর কিছু নেই।’

সৌরভ সাহার স্ত্রী পূজা সাহা বলেন, ‘আমরা ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ করে রাত দুইটা-আড়াইটার দিকে একদল ডাকাত তারা সংখ্যায় কমপক্ষে ৪০ জনের মতো ছিল। তারা ঘরের দড়জা ও তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে আমাদের বেঁধে, অস্ত্রের মুখে জিন্মি করে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে।’


সৌরভ সাহার মা লক্ষী রাণী সাহা বলেন, ‘আমার স্বামী অসুস্থ ছিল। তাকে নিয়ে ফরিদপুরে হাসপাতালে ছিলাম। ডাকাতরা আমার নতুন বিবাহিত ছেলে-বউয়ের, আমার ও আমার মেয়েদের সোনা-দানা সব লুট করে নিয়ে গেছে।’

এ ব্যাপারে সাতৈর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রাফিউল আলম মিন্টু বলেন, ‘জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। ডাকাতির ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। পরিবারটি অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।’

বোয়ালমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান এ ঘটনার তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘বিষয়টি তদন্তে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে রয়েছে। আমরা কাজ করছি, ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ পেয়ে একটি ডাকাতি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। তদন্ত করে দোষীদের সনাক্ত করাসহ ডাকাত দলের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এ বিষয়ে ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী-বোয়ালমারী সার্কেল) আজম খান বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। এ বিষয়ে পুলিশ কাজ করছে। আশাকরি অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হবো।’

আমাদের সময়/আরডি