শ্যালিকাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে দুলাভাইসহ চারজনের আমৃত্যু কারাদণ্ড
ফরিদপুরে সদরে শ্যালিকাকে (২৫) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও হত্যার দায়ে দুলাভাইসহ চারজনের আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ শামীমা পারভীন এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেকে দেড় লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ সময় একজন বাদে সব আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়।
আসামিরা হলেন ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর বেপারী (৩৭-পলাতক), কামরুল মৃধা (৩৭), আলী বেপারী (৪২), ও বক্কার ব্যাপারী (৬৭)।
এ ছাড়া এই মামলার আলামত নষ্ট করার দায়ে মমতাজ বেগম এবং আবুল কালাম বেপারী নামে দুই জনের পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও বিশ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন আদালত। অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২০১২ সালের ১ অক্টোবর ফরিদপুরে মেয়েটির বড় বোনের স্বামী জাহাঙ্গীর বেপারী রাত একটার দিকে কয়েকজনকে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে যায়। এরপর বোনের অসুস্থতার কথা বলে তাকে দরজা খুলতে বলে। মেয়েটি দরজা খুললে আসামি ও তার সঙ্গে থাকা কয়েকজন মিলে তাকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করে।
এরপর আসামি প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে মেয়েটিকে কবর দিয়ে দেয়। মেয়েটির মায়ের এ বিষয়ে সন্দেহ তৈরি হলে তিনি ফরিদপুরের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২নং আমলি আদালতে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে মামলা দায়ের করেন।
রায়ের বিষয়ে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম রব্বানী ভুঁইয়া রতন বলেন, ‘আদালতে আমরা সর্বোচ্চ বিচার পেয়েছি, এই রায়ে আমরা রাষ্ট্রপক্ষ খুশি হয়েছি।’
আমাদের সময়/আরডি