সামিরার মায়ের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
বাংলাদেশের জনপ্রিয় প্রয়াত চিত্রনায়ক সালমান শাহ’র হত্যা মামলায় তার শাশুড়ি লতিফা হক রিও ওরফে লুসির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুজ্জামান এ আদেশ দিয়েছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা মডেল তার পরিদর্শক আতিকুল ইসলাম খন্দকার তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, সালমান শাহ হত্যা মামলার তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তার বিদেশ গমন রহিত করা একান্ত আবশ্যক। আসামির বিদেশ গমনরোধে ‘স্টপ লিস্ট’ এ আসামির নাম অন্তর্ভূক্ত করতে আদালতে বিশেষ অনুমতি প্রয়োজন।
এরআগে গত ২৭ অক্টোবর সালমানের সাবেক স্ত্রী সামিরা হক ও খলনায়ক ডনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছিলেন একই আদালত।
আরও পড়ুন:
১১ বছরেও বিচারে অগ্রগতি নেই
এর আগে গত ২০ অক্টোবর ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হকের আদালত সালমান শাহ’র মায়ের করা রিভিশন মঞ্জুর করে অপমৃত্যু মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে এজাহার গ্রহণের আদেশ দেন।
ওইদিনই সালমান শাহ’র মা নীলা চৌধুরীর পক্ষে তার ভাই মোহাম্মদ আলমগীর কুমকুম এ মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় আসামি করা হয়, সালমান শাহ’র সাবেক স্ত্রী সামিরা হক, সামিরা হকের মা লতিফা হক লুছি, ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই, খলনায়ক ডন, ডেবিট, জাবেদ, ফারুক, রুবীম আ. ছাত্তার, সাজু, রেজভি আহমেদ ওরফে ফরহাদ।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ইস্কাটনের বাসা থেকে চিত্রনায়ক সালমান শাহর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই সময় প্রথমে অপমৃত্যুর মামলা করেন সালমান শাহর বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। পরে ১৯৯৭ সালের ২৪ জুলাই অভিযোগটি হত্যা মামলায় রূপান্তরের আবেদন করা হয়।
আরও পড়ুন:
ওটিটি প্ল্যাটফরম আমার জন্য বেশ লাকি
এ বিষয়ে তদন্ত করতে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা সিআইডিকে নির্দেশ দেন আদালত। তদন্ত শেষে ১৯৯৭ সালের ৩ নভেম্বর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় সিআইডি। প্রতিবেদনে এ ঘটনাকে আত্মহত্যা বলা হয়। পরে ওই বছরের ২৫ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন গৃহীত হয়। তবে প্রতিবেদনটি প্রত্যাখ্যান করে রিভিশন মামলা করেন কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। পরে ২০০৩ সালের ১৯ মে মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে পাঠান আদালত।
২০১৪ সালের ৩ আগস্ট আদালতে বিচার বিভাগীয় তদন্তের প্রতিবেদন দাখিল করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইমদাদুল হক। ওই প্রতিবেদনেও সালমান শাহর মৃত্যুকে অপমৃত্যু বলা হয়। কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরীর মৃত্যুর পর ছেলে হত্যা মামলার বাদী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন মা নীলা চৌধুরী। ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি তিনি ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজির আবেদন করেন। সর্বশেষ মামলাটি পিবিআই তদন্ত করে।
২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর আদালত ওই প্রতিবেদন গ্রহণ করে মামলাটি নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন। ২০২২ সালের ১২ জুন এই আদেশের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে রিভিশন মামলা দায়ের হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সিলেটের দারিয়াপাড়ায় নানাবাড়িতে সালমান শাহের জন্ম। এই নায়কের মৃত্যু হয় ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর।
আরও পড়ুন:
নানাকে নিয়ে পরীর আবেগঘন পোস্ট
আমাদের সময়/কেইউ