দর্শক এখনও মনে রেখেছে এটাই বড় প্রাপ্তি
মানুষ আমাকে দেখলে আগ্রহ নিয়ে কথা বলতে আসেন। দর্শক এখনও আমাকে মনে রেখেছেন, এটাই অনেক বড় প্রাপ্তি। কথাগুলো বলছিলেন চিত্রনায়িকা শাবনাজ। আজ এই অভিনেত্রীর জন্মদিন। তিনি বলেন, জন্মদিনে বিশেষ কোনো আয়োজন না থাকলেও পারিবারিকভাবেই দিনটি উদযাপন করা হবে। সত্যি বলতে কী, এখন আর জন্মদিন ঘিরে তেমন উচ্ছ্বাস কাজ করে না। বাবা নেই, মা নেই, তাদের কথা জন্মদিন এলে বিশেষভাবে মনে পড়ে। ঘরোয়াভাবে যতটা অল্পের মধ্যে উদযাপন করা যায় ঠিক ততটুকুই। জন্মদিনে শুধু সবার কাছে দোয়া চাই আল্লাহ যেন সুস্থ রাখেন, ভালো রাখেন।
কথা প্রসঙ্গে উঠে আসে সালমান প্রসঙ্গ। সালমান শাহর সঙ্গে শাবনাজ তিনটি সিনেমার নায়িকা হয়েছিলেন। শিবলী সাদিকের ‘মায়ের অধিকার’, হাফিজ উদ্দিনের ‘আঞ্জুমান’ ও তমিজ উদ্দিন রিজভীর ‘আশা ভালোবাসা’ সিনেমায়। ‘মায়ের অধিকার’ সিনেমাটিই সবচেয়ে বেশি আলোচনায় এসেছে এবং দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে।
আরও পড়ুন:
ওটিটি প্ল্যাটফরম আমার জন্য বেশ লাকি
সালমান প্রসঙ্গে শাবনাজ বলেন, সালমান ছিল অসাধারণ নায়ক। স্টারডম ছিল আকাশছোঁয়া। অহংকার ছিল না। সবাইকে সম্মান করে কথা বলত। সিনিয়রদের প্রতি তার ব্যবহার ছিল দারুণ। আমরা সমবয়সী ছিলাম। কিন্তু সিনেমায় ওর আগে এসছি সেটা সে মূল্যায়ন করত। ও যখন শুনত আমি সেটে এসে গেছি দেরি করত না। সদালাপী, আড্ডাবাজ ছিল। ভীষণ ডানপিটে। শুটিং সেটে সালমান থাকা মানেই হাসি আনন্দ লেগে থাকা।
আরও পড়ুন:
ফের জুটি হলেন মম-শ্যামল
১৯৯১ সালে এহতেশামের হাত ধরে ‘চাঁদনী’ সিনেমার মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে আগমন নাঈম-শাবনাজের। ‘চাঁদনী’ সিনেমা মুক্তির পর নাঈম-শাবনাজ জনপ্রিয় জুটি হয়ে যান। একে একে উপহার দেন ‘জিদ’, ‘লাভ’, ‘সোনিয়া’, ‘অনুতপ্ত’,‘ চোখে চোখে’, ‘বিষের বাঁশি’, ‘টাকার অহংকার’, ‘সাক্ষাৎ’, ‘ঘরে ঘরে যুদ্ধ’ প্রভৃতি সিনেমা। পর্দার নায়ক-নায়িকা ১৯৯৪ সালে বিয়ে করেন।
আরও পড়ুন:
মারা গেলেন পরীমনির নানা