চট্টগ্রামে গভীর রাতে যুবদলের দুই পক্ষের গোলাগুলি, নিহত ১

অনলাইন ডেস্ক
২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৫৮
শেয়ার :
চট্টগ্রামে গভীর রাতে যুবদলের দুই পক্ষের গোলাগুলি, নিহত ১

চট্টগ্রামে গভীর রাতে যুবদলের দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলিতে মো. সাজ্জাদ (২২) নামে এক ছাত্রদল কর্মী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। 

সোমবার (২৭ অক্টোবর) দিবাগত রাত দুইটার দিকে নগরের বাকলিয়া এক্সেস রোডের বগার বিলমুখ এলাকায় এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। 

নিহত সাজ্জাদ নগর যুবদলের বিলুপ্ত কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক (বহিষ্কৃত) এমদাদুল হক বাদশার অনুসারী।

পুলিশ ও দলীয় সূত্র জানায়, ব্যানার ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। নিহত সাজ্জাদ নগর যুবদলের বিলুপ্ত কমিটির বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশার অনুসারী ছিলেন। অপরপক্ষ ছিলেন নগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি গাজী সিরাজ উল্লাহর অনুসারীরা।

গোলাগুলির বিষয়ে জানতে চাইলে বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে বলেন, ব্যানার ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত বলে জানা গেছে। গুলিতে একজন নিহত হয়েছেন। আহত আছেন বেশ কয়েকজন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

দলীয় সূত্র বলছে, ব্যানার ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে এমদাদুলের অনুসারী যুবদল কর্মী মো. জসিমকে সোমবার রাতে সিরাজের অনুসারী বোরহান উদ্দিন ও নজরুল ইসলাম সোহেল তুলে নিয়ে যান।

জসিম সাংবাদিকদের বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও নগর বিএনপির সাবেক সভাপতি শাহাদাত হোসেন তার ছবি ব্যবহার করে নগরের বিভিন্ন স্থানে সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজদের টাঙানো ব্যানার তুলে ফেলার নির্দেশ দেন। এরপর বাকলিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় লাগানো ব্যানারগুলো খুলে ফেলেন তিনি। এর মধ্যে শাহাদাত ও সিরাজের ছবিসহ বোরহানের ব্যানার ছিল। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গতকাল রাতে তাকে ৮ থেকে ১০ জনের একটি দল তুলে নিয়ে আটকে রেখে মারধর করেন। 

দলীয় সূত্র আরও বলছে, জসিমকে আটকে রাখার খবর ছড়িয়ে পড়লে এমদাদুলের অনুসারীরা তাকে ছাড়িয়ে আনতে যান। এ সময় বাকলিয়া এক্সেস রোডে তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। পরে আহত অবস্থায় হাসপাতাল আনা হলে সাজ্জাদকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। তার বুকে গুলি লাগে।

জানতে চাইলে এমদাদুল বলেন, সিরাজের ছবি দিয়ে ব্যানার টাঙিয়েছিলেন বোরহান। মেয়র শাহাদাতের নির্দেশে ব্যানারগুলো খুলে ফেলায় জসিমকে ধরে নিয়ে যান বোরহানরা। ছাড়িয়ে আনতে গেলে গুলি করেন।

এ ব্যাপারে সিরাজ গতকাল রাতে বলেন, বোরহান ও সোহেল তার অনুসারী নয়। তিনি এখন পটিয়ায় আগামী নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত। বোরহান-সোহেলরা খারাপ জানার পর থেকে তাদের সঙ্গে তিনি কোনো যোগাযোগ রাখেননি।

এদিকে নিহত সাজ্জাদকে দেখতে রাতে হাসপাতালে ছুটে আসেন তার মা ফরিদা বেগম। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলেকে কেন গুলি করেছে? তার খুনিদের বিচার চাই।’

নিহত সাজ্জাদের ভাই মোহাম্মদ ইমরান বলেন, তার ভাই ছাত্রদলের রাজনীতি করতেন। তিনি তার ভাইয়ের খুনিদের ফাঁসি চান।


আমাদের সময়/এএস