ঢাকায় বন্দী পাকিস্তানি নারী, ৯৯৯-এ কলে উদ্ধার
রাজধানীর দারুসসালাম থানার লালকুঠি এলাকায় এক পাকিস্তানি নারী ৯৯৯-এ ফোন করে জানালেন, তিনি স্বামী ও শাশুড়ির নির্যাতনের শিকার এবং ঘরে বন্দী অবস্থায় আছেন। ফোন পাওয়ার পরই দ্রুত নড়েচড়ে বসে জাতীয় জরুরি সেবা ও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) ৯৯৯-এর পুলিশ পরিদর্শক (গণমাধ্যম ও জনসংযোগ কর্মকর্তা) আনোয়ার সাত্তার এ তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।
ভুক্তভোগী ওই নারী (২৫) অভিযোগ করেন, তার স্বামী নোবেল আহমেদ (২৭) ও শাশুড়ি তাকে নিয়মিত শারীরিক নির্যাতন করতেন। এমনকি তাকে একটি কক্ষে আটকে রাখা হয় এবং তার পাসপোর্টও কেড়ে নেওয়া হয়। ফলে তিনি কার্যত বন্দী জীবনযাপন করছিলেন।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
৯৯৯-এর পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার জানান, ইংরেজি ডেস্কের কনস্টেবল সুমাইয়া জাহান ও প্লাবন দেব কলটি গ্রহণের পর দ্রুত দারুসসালাম থানায় খবর পাঠান। যদিও ভুক্তভোগী নারী সঠিক অবস্থান জানাতে পারেননি, তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় তার অবস্থান শনাক্ত করে পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালায়।
এসআই বিরেন চন্দ্র দাশের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত অভিযানে পুলিশ নারীটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। সেখানে জানা যায়, তার তিন মাস বয়সী একটি সন্তান রয়েছে এবং তিনি পাকিস্তানে ফিরে যেতে চান।
পরে পুলিশি তৎপরতায় তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা থানায় এসে পাসপোর্ট ফেরত দেন এবং প্রতিশ্রুতি দেন—দশ দিনের মধ্যে শিশুটির পাসপোর্ট তৈরি করে মা-ছেলেকে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। শেষ পর্যন্ত ভুক্তভোগী নারী লিখিত অভিযোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং তার ননদের জিম্মায় ফিরে যান।
আমাদের সময়/আরডি
