পরিচয় মিলেছে মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত ব্যক্তির
মেট্রোরেল চলাচলের সময় কম্পনরোধে ব্যবহৃত বিয়ারিং প্যাড (শক অ্যাবজর্ভার প্লেট) ছিটকে পড়ে নিহত পথচারীর পরিচয় মিলেছে। তার নাম আবুল কালাম (৩৫)।
তিনি শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ইশ্বরকাঠি গ্রামের জলিল চোকদারের ছেলে। বর্তমানে তিনি নারায়ণগঞ্জের জলকাঠি এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির তেজগাঁও জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) মো. আক্কাস আলী।
নিহত ব্যক্তির কাছ থেকে পাওয়া পাসপোর্টের তথ্য ও আমাদের সময়ের শরীয়তপুর প্রতিনিধির পাঠানো সংবাদে এসব তথ্য মিলেছে।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
এর আগে রোববার (২৬ অক্টোবর) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ফার্মগেট মেট্রো স্টেশনসংলগ্ন বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বিয়ারিং প্যাড পড়ে ঘটনাস্থলেই আবুল কালাম নিহত হন।
নিহতের স্বজনরা জানান, আবুল কালাম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে ঢাকায় একটি ট্রাভেল এজেন্সি পরিচালনা করতেন। তিনি ব্যবসায়িক কাজে নিয়মিত ফার্মগেট এলাকায় যাতায়াত করতেন। পারিবারিক জীবনে তিনি এক পুত্র ও এক কন্যাসন্তানের জনক। তার ছেলে আব্দুল্লাহ, বয়স ৫ বছর এবং মেয়ে সুরাইয়া আক্তারের বয়স ৩ বছর।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
নিহতের চাচাতো ভাই আব্দুল গণি চোকদার বলেন, ‘আবুল কালাম খুব ভদ্র মানুষ ছিলেন। নিজের চেষ্টায় ঢাকায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করে ছিলেন। কালামের এই অনাকাঙ্খিত মৃত্যু আমাদের জন্য বেদনার। সরকারের অবহেলার কারণে আমার ভাই মারা গেল। এখন তার পরিবারে দায় দায়িত্ব কে নেবে?’
নিহতের মেঝ ভাবী আছমা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘সর্বশেষ দুপুর ১২টার দিকে আবুল কালামের সঙ্গে আমার শেষ কথা হয়েছে। ও বলে ছিল দু-এক দিনের মধ্যে বাড়ি আসবে। আমাকে ইলিশ মাছ কিনে রাখতে বলেছিল। আমার ভাই আর আসলো না।’
আমাদের সময়/এআই