নদী বাঁচলে পরিবেশও টিকে থাকবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘নদীর দূষণ রোধ করা গেলে জলজ প্রাণীরা মুক্তভাবে বাঁচতে পারবে, আর নদীও ফিরে পাবে তার স্বাভাবিক প্রবাহ। নদী বাঁচলে পরিবেশও টিকে থাকবে।’
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় শনিবার (২৫ অক্টোবর) নদীপ্রেমীদের আয়োজনে গল্প, আড্ডায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘ইটভাটার লাইসেন্স দেওয়ার সময় আইন অনুযায়ী মাটির উৎস কি বলতে হয়, তখন অনেকেই বলে পতিত জমি। বাংলাদেশে এত পতিত জমি কোথায়? উল্লেখ করে দিতে হবে আমি অমুক জায়গা থেকে এতটুকু মাটি নেব। ইউএনওরা অনকে সময় বলেন যে মাটি কাটা বন্ধ করতে গিয়ে হামলার স্বীকার হতে হয়। তো আমি বলব মাটি কাটার শ্রমিক না ধরে হোতাদের ধরেন। দু-একটা এরকম করলেই মাটি কাটা বন্ধ হয়ে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘শুধু সরকারের উদ্যোগ যথেষ্ট নয়—নদী রক্ষায় স্থানীয় জনগণের সহযোগিতা ও পরিবেশ কর্মীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। সম্মিলিত উদ্যোগেই সম্ভব শীতলক্ষ্যা নদীকে দূষণমুক্ত করে তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনা। নদী দূষণকারীদের একজন একজন করে ধরে ধরে ব্যবস্থা নেবেন? নাকি নদী যারা দূষণ করে তাদেরকে একটা সেন্ট্রালি ইটিপির আওতায় আনবেন? নাকি তাদের কয়েকজনকে বন্ধ করে দিবেন? এই সবগুলা অপশন নিয়েই আমাদেরকে কাজ করতে হবে।’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের কাঞ্চন ঘাট থেকে নদীপ্রেমীরা একটি জাহাজ নিয়ে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার রাণীগঞ্জ এলাকায় শীতলক্ষ্যা ও পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের মোহনায় জেগে ওঠা ধাঁধার চরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন। শনিবার ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই পরিবেশকর্মীদের এ যাত্রা শুরু হয়।
নদীর হারানো স্রোত, নদীর গভীরতা ও নদী বাঁচানোর প্রত্যয় নিয়ে দিনব্যাপী পরিবেশকর্মীদের আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
নদী পথে জাহাজে নদীর নিয়ে গল্প, আড্ডা, মতবিনিময়, নদী নিয়ে মুক্তচিন্তা এবং নদী নিয়ে বিভিন্ন রকমের গান ও ছবি অঙ্কনের মধ্যেদিয়ে আনন্দঘণ দিন পার করেছেন অংশগ্রহণকারীরা। তাদের চূড়ান্ত গন্তব্য ধাঁধার চর পৌঁছে চারপাশে নদীঘেরা সবুজ প্রকৃতি সবাইকে বিমোহিত করে। নদী ও প্রকৃতি রক্ষায় তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে ঐক্যের অঙ্গীকার।
আমাদের সময়/জেআই