রাজনৈতিক ফ্যাসিবাদ গেলেও সামাজিক ফ্যাসিবাদ রয়ে গেছে: তথ্য উপদেষ্টা
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘মাজারসহ যত মতাদর্শ মানুষের বসবাস বাংলাদেশে রয়েছে, সব ধরনের মানুষের মধ্যে যদি সংলাপের সুযোগ না থাকে, তাহলে তা রাষ্ট্রের জন্য কল্যাণকর হবে না। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাজনৈতিক ফ্যাসিবাদ চলে গেলেও সামাজিক ফ্যাসিবাদ এখনো রয়ে গেছে। আমাদেরকে এখন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ফ্যাসিবাদকে মোকাবিলা করতে হবে।’
শনিবার (২৫ অক্টোবর) রাজধানীর তোপখানা রোডের বিএমএ ভবনের ডা. শামসুল আলম খান মিলন সভাকক্ষে ‘মাজার সংস্কৃতি: সহিংসতা, সংকট ও ভবিষ্যৎ ভাবনা’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সংলাপটির আয়োজিন করে ‘মাকাম: সেন্টার ফর সুফি হেরিটেজ’ নামক একটি সংগঠন।
তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশে যারা ইসলামের নামে রাজনীতির চর্চা করেন, তারা গত হাজার বছর ধরে যে ইসলামের ইতিহাস ও ঐতিহ্য রয়েছে, তাতে ভ্রূক্ষেপ করেননি। যে কারণে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ফ্যাসিবাদের সঙ্গে কিছু রাজনৈতিক দলের সংশ্লেষও জড়িত। ‘
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় ও রাজনৈতিক আলোচনার জায়গায় ধর্মকে বাদ দেওয়ার যে প্রকল্প, তাকে মোকাবিলা না করলে এই সংকট সহসাই কাটবে না। গত এক বছর যাবৎ মাজার, দরবারের ওপর যে হামলা হয়েছে তার যদি পাল্টা আঘাত হয়, তাহলে তা রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতাকে নস্যাৎ করবে। ফলে এই সহিংসতাকে যে কোনো মূল্যেই হোক বন্ধ করতে হবে। ’
অনুষ্ঠানের শুরুতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মাকামের অন্যতম পরিচালক মিজানুর রহমান। তিনিসহ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন মাকামের আরেক অন্যতম পরিচালক ইমরান হুসাইন তুষার। এতে বক্তব্য দেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. আয়াতুল ইসলাম, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, আইনজীবী ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মানজুর আল মতিন, দ্য ডিসেন্ট সম্পাদক ও ফ্যাক্টচেকার কদরুদ্দীন শিশির, কবি ও সমালোচক ইমরুল হাসান, লেখক ও গবেষক সহুল আহমদ ও তাহমিদাল জামি, গবেষক ভূঁইয়া মোহাম্মদ, সাংবাদিক ইয়াসির আরাফাত, কবি ও লেখক রাফসান প্রমুখ। এ ছাড়া সারাদেশের বিভিন্ন মাজারের প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
আমাদের সময়/জেআই