ছাত্রকে বলৎকারের অভিযোগে শিক্ষককে গণধোলাই, পুলিশে সোপর্দ

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
২৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৩৪
শেয়ার :
ছাত্রকে বলৎকারের অভিযোগে শিক্ষককে গণধোলাই, পুলিশে সোপর্দ

গাজীপুরের শ্রীপুরে ১২ বছর বয়সী এক ছাত্রকে বলৎকারের অভিযোগে এক শিক্ষককে গণধোলাই দিয়েছে স্থানীয় জনতা। পরে ওই শিক্ষককে গাজীপুরের মাওনা চৌরাস্তার পুলিশ বক্সে আটকে রেখে বিক্ষোভ করে উত্তজিত জনতা।

খবর পেয়ে শ্রীপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মো. মহসিনকে (৩৫) উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেয়। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানায় পুলিশ।

মো. মহসিন নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া থানার কাচুটিয়া গ্রামের আব্দুল হেকিমের ছেলে। তিনি মাওনা চৌরাস্তার দারুল হিকমাহ্ হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক। ভুক্তভোগী ওই মাদ্রাসার নুরানী বিভাগের ছাত্র।

জানা যায়, গতকাল শুক্রবার মাদরাসায় ভুক্তভোগী ওই ছাত্রকে বলৎকার করেন শিক্ষক মো. মহসিন। ঘটনার কথা বাসায় জানালে ওই দিন বিকেলেই ভুক্তভোগী ছাত্রের দাদা মাদরাসা থেকে তাকে বাড়ি নিয়ে আসেন। একই দিন সন্ধ্যায় স্বজনরা মাদরাসায় গিয়ে শিক্ষক মহসিনকে গণধোলাই দেয়। একপর্যায়ে তাকে মাওনা চৌরাস্তা জেলা পুলিশ বক্সে তাকে আটকে রাখে।

এদিকে শিক্ষকে মারপিটের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। বিষয়টি প্রকাশ পেলে স্থানীয়রা রাত ৯টার দিকে মাওনা পুলিশ বক্স অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।

খবর পেয়ে শ্রীপুর থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরবর্তীতে রাত ১১টার দিকে পুলিশ ওই শিক্ষককে উদ্ধার করে।

ভুক্তভোগী ওই ছাত্রের বাবা জানান, তার ছেলে ওই মাদ্রাসার আবাসিক নুরানী বিভাগের ছাত্র। শুক্রবার মাদ্রাসার ভেতরে ওই শিক্ষক তার ছেলেকে বলৎকার করেন। বিকেলে তার বাবা মাদ্রাসায় গেলে তার ছেলেকে নিয়ে বাড়িতে আসেন। পরে বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানালে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে মাদ্রাসার ওই শিক্ষককে গণধোলাই। সন্ধ্যায় তারা শিক্ষককে মাওনা চৌরাস্তার পুলিশ বক্সে নিয়ে যান।

বিষয়টি নিশ্চিত করে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, ‘মাদ্রাসাশিক্ষককে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে আনা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।’