বিয়ের দাবিতে ভাতিজার বাড়িতে চাচি
বিয়ের দাবিতে ভাতিজার বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন চাচি (২৫)। গত ছয় দিন ধরে এই অবস্থান তার। এদিকে তার উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে গেছেন প্রেমিক ভাতিজা আব্দুল আজিজ (২০)।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ছাপড়হাটি ইউনিয়নের উত্তর মরুয়াদহ গ্রামের ব্যাপারীপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ওই নারী দুই সন্তানের জননী। ভাতিজা আব্দুল আজিজ তার স্বামীর চাচাতো ভাই মো. গণি মোল্লার ছেলে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল এক ভিডিওতে দেখা যায়, ভুক্তভোগী নারী বলছেন, প্রেমিক ভাতিজার হাত ধরে তাকে বাড়ি থেকে বের করা হয়েছিল। পরে আবার ভাতিজা তাকে অভয় দিয়ে নিজের বাড়িতে পাঠিয়েছিলেন।
স্থানীয়রা বলছেন, চাচি ও ভাতিজার মধ্যে সম্পর্ক আগে থেকেই চলে আসছে। উভয়ের বাড়ি একই এলাকায় হওয়ার সুবিধা কাজে লাগিয়ে তারা অনায়াসে যাতায়াত করতেন। এর আগেও মোল্লা বাড়িতে বিয়ের দাবি তুলেছিলেন ওই নারী কিন্তু তাকে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। এবার বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করলে প্রেমিক পালিয়ে যান।
এদিকে ঘটনার তৃতীয় দিনে ওই নারীকে তালাক দিয়েছেন তার স্বামী।
সরেজমিন দেখা যায়, বাড়ির সামনে নারী-পুরুষের ভিড় জমে গেছে। গণমাধ্যমকর্মীরা পৌঁছলে আজিজ পরিবারের লোকেরা গেট বন্ধ করে দেন।
গণি মোল্লার ভাতিজা জানিয়েছেন, ওই নারী এখনো বাড়িতে আছেন, কিন্তু কাউকে প্রবেশ বা কথা বলা নিষিদ্ধ করেছেন তার বাবা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, মহিলাটি শনিবার থেকে ওই বাড়িতে আছেন। ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ভাতিজার পরিবারের যাতায়াতের পথও বন্ধ করে দিয়েছেন।
ছাপড়হাটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. আনছার আলী বলেন, ‘মহিলার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, সম্পর্ক দুই-তিন বছর ধরে। শনিবার থেকে বাড়িতে অবস্থান করছেন তিনি। কিন্তু ছেলেটি পালিয়ে গেছে।’
ছাপড়হাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কনক কুমার গোস্বামী বলেন, ‘আমি এখনো বিষয়টি জানি না। কেউ আমাকে অবহিত করেননি। তাই এ বিষয়ে মন্তব্য করতে পারছি না।’
আমাদের সময়/আরআর