প্রতিশোধ নয়, গণমানুষের সেবায় মনোযোগী হতে চাই: হাবিব

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা
২৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৭:৩৪
শেয়ার :
প্রতিশোধ নয়, গণমানুষের সেবায় মনোযোগী হতে চাই: হাবিব

বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক ও সাতক্ষীরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিব বলেছেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যারা মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার কোনো মানসিকতা আমার নেই। আমি প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নই। বাকী জীবন আমি গণমানুষের সেবায় নিজেকে ব্যাপৃত রাখব।’

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সাতক্ষীরা শহরের হোটেল টাইগার প্লাসের কনফারেন্স রুমে উচ্চ আদালতে ৭০ বছরের সাজা থেকে খালাস প্রাপ্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির কেন্দ্রীয় এই নেতা বলেন, ‘যে মাফুজাকে ধর্ষণের ঘটনায় শেখ হাসিনা সাতক্ষীরায় এসেছিলেন, সেই ঘটনার বিচার তিনি করেননি। উল্টো আমার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করে আমাকে ৭০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে অন্য ৪৯ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছিল।  অথচ কথিত ওই ঘটনার দিন আমি সাতক্ষীরায় ছিলাম না, ছিলাম ঢাকায়।’

সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রহমতুল্লাহ পলাশ, সদস্যসচিব আবু জাহিদ ডাব্লু, সাবেক সদস্যসচিব তারিকুল হাসান, সাতক্ষীরা আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুস সাত্তার, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি কামরুজ্জামান ভুট্টো প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, ২০০২ সালে কলারোয়ায় শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার ১২ বছর পর কলারোয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে পৃথক তিনটি অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

আদালত সাবেক এমপি হাবিবসহ ৫০ জন বিএনপি নেতাকর্মীকে অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করেন। এর মধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবকে সর্বোচ্চ ৭০ বছরের সাজা প্রদান করা হয়। ৫০ জন আসামির মধ্যে ৪ জন সাতক্ষীরা আদালতে মৃত্যুবরণ করেন।

বুধবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে বিস্ফোরক দ্রব্য ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৪৪ জন আসামিকে খালাস দেন উচ্চ আদালত।