ময়মনসিংহে তরুণীর মরদেহ ধর্ষণ, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

অনলাইন ডেস্ক
২৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৪:৪৫
শেয়ার :
ময়মনসিংহে তরুণীর মরদেহ ধর্ষণ, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের মর্গে এক তরুণীর মরদেহকে ধর্ষণের অভিযোগে মরদেহ বাহককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

বুধবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে ময়মনসিংহ অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. শরিফুল হকের আদালতে অভিযুক্ত মরদেহ বাহক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। থানায় মামলা করার পর তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

জানা গেছে, গ্রেপ্তার হওয়া যুবকের নাম আবু সাঈদ (১৯)। তিনি হালুয়াঘাট উপজেলার খন্দকপাড়া গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে। প্রায় তিন বছর ধরে হালুয়াঘাট থানা থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের মর্গে মরদেহ আনা–নেওয়ার কাজ করে আবু সাঈদ।

পুলিশ জানায়, গত রোববার (১৯ অক্টোবর) মধ্যরাতে হালুয়াঘাটের জয়রাককুড়া গ্রামে এক তরুণী (২০) গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন। মেয়েটি শেরপুর সরকারি কলেজের গণিত বিভাগের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন ওই তরুণী। মৃত্যুর আগে দুই পাতার সুইসাইড নোটও লিখে যান তিনি।

তিনি লেখেন, ‘আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী আমার দুর্ভাগ্য। আমার মৃত্যুর কোনো কারণ নেই। এই দুনিয়া থেকে আমার মন উঠে গেছে তাই আমি চলে গেছি।’ এসব কথাসহ আরও নানা কথা লিখে যান তিনি।

সোমবার (২০ অক্টোবর) সকালে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।

এদিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মর্গে মরদেহ রেখে বের হওয়ার পর দ্বিতীয়বার মর্গে প্রবেশ করেন মরদেহ বহনকারী আবু সাঈদ। ওই সময় তরুণীর মরদেহকে ধর্ষণ করেন তিনি।

একইদিন ময়নাতদন্ত করতে গিয়ে চিকিৎসক ধর্ষণের আলামত পেলে বিষয়টি পুলিশকে জানান। পরে পুলিশ সোমবার রাতেই আবু সাঈদকে নিজেদের হেফাজতে নেয়। পরে তার বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা শেষে বুধবার বিকেলে আদালতে সোপর্দ করে।

ময়মনসিংহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ধর্ষণের আলামত পাওয়ার পর সোমবার সন্ধ্যার দিকে জানালে তদন্ত শুরু করি। একপর্যায়ে মরদেহ আনা-নেওয়ার কাজ করা সাঈদকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের তিনি মরদেহ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন।’

তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে পুলিশের পক্ষ থেকে ধর্ষণ ও মরদেহ অবমাননাসহ বিভিন্ন ধারায় মামলা শেষে আদালতে সোপর্দ করা হলে তিনি স্বীকারোক্তি দেন।’

আমাদের সময়/আরআর