সিইসিকে মঈন খান /

বিতর্কিত কর্মকর্তারা যেন নির্বাচনে না থাকেন

অনলাইন ডেস্ক
২৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৪:৪২
শেয়ার :
বিতর্কিত কর্মকর্তারা যেন নির্বাচনে না থাকেন

প্রশাসন ও সরকারি বিতর্কিত কর্মকর্তারা যাতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রক্রিয়ায় যুক্ত হতে না পারেন, সে বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। 

আব্দুল মঈন খান বলেন, ‘গত তিনটি নির্বাচনে ভোটের নামে হয়েছে প্রহসন। সে সময় প্রশাসনে থেকে রাজনৈতিকভাবে ভূমিকা রেখেছিলেন অনেক কর্মকর্তা। ১৫ বছরের এই কর্মকর্তারা ১৫ মাসে পরিবর্তন হবে না, এই বিষয়ে আমরা ইসিকে সচেতন করেছি। বিতর্কিত কর্মকর্তারা যেন আগামী নির্বাচনে কোনোভাবে অংশগ্রহণ না করতে পারেন।’

জাতীয় নির্বাচন একটি বিরাট কর্মযজ্ঞ উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ‘৩০০ নির্বাচন এলাকায় ৪২ হাজার কেন্দ্র আছে। ভোটে ১০ লাখ লোক দরকার, তারা কারা? তারা সিভিল, পুলিশ, বিচার বিভাগ থেকে আসেন। বিগত ১৫ বছর প্রশাসনকে রাজনৈতিকভাবে তৈরি করা হয়েছিল।’

এ সময় কোনো ব্যক্তিগত বা দলীয় স্বার্থ নয়, বরং জাতীয় স্বার্থ রক্ষার জন্যই নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করেছেন বলেও জানান বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, ‘১৭ বছরের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামের পর, বিশেষ করে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে পরিবর্তনের সূচনা হয়েছে, তার ধারাবাহিকতায় আমরা চাই- ১৮ কোটি মানুষ যেন সত্যিকারের গণতান্ত্রিক পরিবেশে বাস করতে পারে, সাংবাদিকেরা স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারে, আর ১২ কোটি ভোটার যেন নির্ভয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে।’

মঈন খান বলেন, ‘আমরা নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করেছি যেন তারা একটি উদাহরণ স্থাপন করে, যাতে দেশবাসী ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বুঝতে পারে- বাংলাদেশ গণতন্ত্রের পথে এগোচ্ছে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনের সময় অন্তর্বর্তী সরকারকে এমন ভূমিকা নিতে হবে যাতে জনগণ বিশ্বাস করে যে তাদের কোনো দলীয় স্বার্থ নেই। সরকার ও নির্বাচন কমিশন যদি দৃশ্যমানভাবে সেই নিরপেক্ষতার বার্তা দিতে পারে, তাহলে দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও শান্তিপূর্ণ ভোটের পরিবেশ তৈরি হবে।’

একই সঙ্গে মঈন খান বলেন, বিএনপি আগেই নির্বাচনী সংস্কার সংক্রান্ত তাদের প্রস্তাব নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দিয়েছে। সেই প্রস্তাবগুলো বিবেচনায় নিয়ে কমিশন যদি সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করতে পারে, তবে আসন্ন নির্বাচন হবে দেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে একটি মাইলফলক।

শেষে তিনি বলেন, ‘আমরা চাই, এই নির্বাচন বাংলাদেশের মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনুক, যাতে বিশ্ব বুঝতে পারে- বাংলাদেশ সত্যিই গণতন্ত্রের পথে ফিরছে।’

এ সময় তার সঙ্গে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ ও সাবেক সচিব মোহাম্মদ জকরিয়া উপস্থিত ছিলেন। 

আমাদের সময়/এএস