বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ, ভোগান্তিতে আট জেলার মানুষ

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
২২ অক্টোবর ২০২৫, ০০:০০
শেয়ার :
বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ, ভোগান্তিতে আট জেলার মানুষ


বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের সব ইউনিট বন্ধ হয়ে গেছে। এর ফলে লোডশেডিংয়ের ভোগান্তিতে পড়েছেন রংপুরের আট জেলায় মানুষ।

জানা গেছে, গত রবিবার দিবাগত রাতে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ১নং ইউনিটটিও বন্ধ হয়ে যায়। এর আগে গত বৃহস্পতিবার বন্ধ হয়ে যায় তৃতীয় ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২নং ইউনিটটি ২০২০ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে। ফলে বর্তমানে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তিনটি ইউনিটের মধ্যে সব ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ।

নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই (নেসকো) রংপুর অঞ্চল সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানান, জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হলেও উত্তরাঞ্চলে চাহিদা পূরণে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। একদিকে বিদ্যুৎকেন্দ্র

বন্ধ, অন্যদিকে সরবরাহে ঘাটতি। এতে মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়েছেন উত্তরাঞ্চলের মানুষ। জাতীয় গ্রিড থেকেও মিলছে না চাহিদা মতো বিদ্যুৎ।

সূত্র মতে, বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ উৎপাদনে ত্রুটি দেখা দিলে প্রভাব পড়ে দিনাজপুর জেলাসহ রংপুরের অন্যান্য জেলাগুলোয়। বড়পুকুরিয়ার বিদ্যুতের ওপর শুধু নেসকোর গ্রাহক নয়, বিপুলসংখ্যক পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক রয়েছেন। তাই ভোগান্তিতে পড়েছেন এসব গ্রাহক। সকাল, ভোর কিংবা গভীর রাতে বিদ্যুৎ বিভ্রাটে অতিষ্ঠ মানুষ।

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার মুদি ব্যবসায়ী আসাদ ও বিপ্লব সরকার বলেন, আমরা পল্লী বিদ্যুৎ ব্যবহার করি। সোমবার ও গতকাল মঙ্গলবার বিদ্যুৎ বেশ কয়েকবার আসা-যাওয়া করেছে। কতক্ষণ বিদ্যুৎ থাকে নাÑ এমন প্রশ্নে তাঁরা বলেন, একবার বিদ্যুৎ গেলে এক ঘণ্টার আগে আসে না। হাকিমপুর উপজেলার ইমরুল কায়েস জানান, গত সোমবার বিদ্যুতে মারাত্মক সমস্য ছিল সারা দিন। তবে মঙ্গলবার কিছুটা কমলেও বিদ্যুতে সমস্যা আছে।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিভাগ-১) দিনাজপুর বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রুবেল ইসলাম হাওলাদার বলেন, গত সোমবার দিনাজপুর শহরে লোডশেডিং থাকলে গতকাল মঙ্গলবার এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত কোনো

লোডশেডিং ছিল না। তিনি আরও বলেন, আমরা জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ পাই। তাই বড়পুকুরিয়ার কারণে বিদ্যুতের লোডশেডিং হচ্ছে কি না, তা আমরা বলতে পারব না। বিষয়টি নিয়ে পাওয়ার গ্রিড দিনাজপুরের (গ্রিড সংরক্ষণ বিভাগ) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাবেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এসব বিষয় তথ্য মোবাইলে দেওয়া যাবে না। আপনি আগামীকাল (আজ) অফিসে এসে তথ্য নিতে পারেন বলে ফোন কলটি কেটে দেন।