শাহজালালে নিয়ম মেনেই সব কাজ হয়েছে: বেবিচক চেয়ারম্যান
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুনের ঘটনায় আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার (আইকাও) প্রোটোকল অনুযায়ী সব নিয়ম মেনেই কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক।
তিনি বলেন, ‘বিমানবন্দরে সপ্তাহে এক দিন ফায়ার ড্রিল করা হয়। আগুন লাগার পরও আইকাওর সব নিয়ম মেনেই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) ঢাকার উত্তরা বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, ‘কার্গো অপারেশন এক দিনের জন্যও বন্ধ রাখা হয়নি; নয় নম্বর গেট দিয়ে কার্যক্রম চালু রয়েছে।’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
এয়ার ভাইস মার্শাল মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক বলেন, ‘রানওয়ের অ্যাপ্রোনে যে পণ্যসামগ্রী স্তুপ করে রাখা হয়েছিল, যার কারণে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি প্রবেশে সমস্যা হয়, তার দায় বিমান, ঢাকা কাস্টমস হাউস ও সিঅ্যান্ডএফ (ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং) এজেন্টদের। নিয়ম অনুযায়ী ২১ দিনের মধ্যে এসব পণ্য অপসারণের কথা। কিন্তু সেখানে বছর ধরে পণ্য পড়ে থাকে।’
তবে তদন্তের স্বার্থে কোনো সংস্থার ওপর দায় দিতে চান না এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক। তিনি আরও বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, কার্গো ভিলেজে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে কোনো আমদানি কুরিয়ার সার্ভিস থেকে।’
ফায়ার সার্ভিসের গাড়িকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি-এমন অভিযোগের বিষয়ে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, এই অভিযোগ সত্য নয়। তিনি বিষয়টি নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালকের সঙ্গে কথা বলেছেন। তারা এমন কোনো অভিযোগ করেননি। তবে যদি প্রমাণ পাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
এয়ার ভাইস মার্শাল মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক জানান, কার্গো ভিলেজের ভবনটি সিভিল অ্যাভিয়েশনের হলেও ভেতরের কার্যক্রম পরিচালনা করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস, ঢাকা কাস্টমস হাউস ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা।
তিনি বলেন, শাহজালাল বিমানবন্দরের এই আগুনের ঘটনায় আইকাওর মানদণ্ডে কোনো প্রভাব পড়বে না। তবে দুর্ঘটনা তদন্ত প্রতিবেদন সম্পন্ন হওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলে বিমানবন্দরের ভাবমূর্তির কোনো ক্ষতি হবে না।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, আর্থিক বিষয়টি সমঝোতা না হওয়ায় বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালে নতুন কার্গো ভবন বুঝে নেওয়া যাচ্ছে না। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান যে টাকা দাবি করছে তার সঙ্গে তাদের প্রায় হাজার কোটি টাকার একটি গ্যাপ রয়েছে।
আমাদের সময়/এএস