বিশ্বজুড়ে ইন্টারনেট বিপর্যয়, প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের কপালে চিন্তার ভাঁজ
ইন্টারনেটের বিশাল অংশ পরিচালনাকারী ক্লাউড কম্পিউটিং প্ল্যাটফর্ম অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেস সোমবার কয়েক ঘণ্টার জন্য অচল হয়ে পড়ে। এতে বিশ্বজুড়ে বড় ধরনের বিপর্যয় দেখা দেয়। বিশেষ করে ব্যাংকিং সেবা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, বিমান টিকিট বুকিং, অনলাইন শপিংসহ নানা সেবা একযোগে বন্ধ হয়ে যায়।
কোটি কোটি ব্যবহারকারী সকালে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে মোবাইলের মাধ্যমে কফি অর্ডার করা বা প্রয়োজনীয় অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেননি। যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূল থেকে শুরু করে ইউরোপ ও এশিয়ার বহু জায়গায় এই বিপর্যয়ের প্রভাব পড়ে।
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করল-বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট কাঠামো কতটা নাজুক। যদিও এডব্লিউএস এবং অন্যান্য ক্লাউড সেবা সাধারণত খুবই নির্ভরযোগ্য, তবু ইন্টারনেট আসলে জটিল সংযোগের এক বিশাল জাল, যা সবচেয়ে দুর্বল অংশের ওপর নির্ভর করে।
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
তবে এবারের বিপর্যয়ের মূল কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। প্রাথমিক ধারণা অনুযায়ী, একটি গুরুত্বপূর্ণ সেবা-যা ওয়েবসাইটের সহজ নামকে আইপি ঠিকানায় রূপান্তর করে-তা হঠাৎ করে অ্যামাজনের সার্ভারে থাকা হাজারো প্রতিষ্ঠানের ডাটাবেসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হয়। ফলে মুহূর্তেই ভেঙে পড়ে অনলাইন সেবার নেটওয়ার্ক।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের বিপর্যয় ক্রমেই ঘন ঘন ঘটছে, যা বৈশ্বিক প্রযুক্তি অবকাঠামোর ওপর আস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। তারা সতর্ক করে বলেন, এমন প্রতিটি আউটেজই আমাদের মনে করিয়ে দেয়-ডিজিটাল দুনিয়া যতই শক্তিশালী মনে হোক না কেন, এটি এখনো ভয়াবহভাবে ভঙ্গুর।’
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
আমাদের সময়/এআই