এখনো মামলা হয়নি, থানায় অপেক্ষায় স্বজনরা
পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় টিউশনিতে গিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রদল নেতা মো. জোবায়েদ হোসেনের খুনের ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। তবে মামলা নেওয়ার অপেক্ষায় পরিবারের সদস্যরা পুরো রাত থানার ভেতরেই কাটিয়ে দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
রোববার (১৯ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১টা থেকে নিহতের পরিবার মামলা করার চেষ্টা করেছে। তবে সোমবার (২০ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টা পেরিয়ে গেলেও বংশাল থানায় খুনের শিকার জোবায়েদের পরিবার মামলা করতে সফল হয়নি।
বাদীপক্ষ জানায়, ওই ছাত্রী বর্ষা, মা-বাবা ও তার প্রেমিক মো. মাহির রহমান ও বন্ধু মো. নাফিসকে উল্লেখ করে মামলা দিতে চাইলেও বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম তা নিতে অস্বীকৃতি জানান।
মামলার বাদী ও ভুক্তভোগী জুবায়েদের বড় ভাই এনায়েত হোসেন সৈকত বলেন, ‘আমরা ওই ছাত্রী, তার মা-বাবাসহ পাঁচজনের নামে মামলা দিতে চাইলে বংশাল থানার ওসি এতজনের নামে মামলা না দেওয়ার পরামর্শ দেন। তিনি জানান, ওই মেয়ের বাবা মায়ের নামে মামলা দিলে নাকি মামলা হালকা হয়ে যাবে। কিন্তু আমরা মামলায় তাদের নাম উল্লেখ করতে চাই। আমার ভাই হত্যার বিচার চাই।’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
আরও পড়ুন: বর্ষা-মাহিরের প্রেমের বলি জবি ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ
জানা গেছে, এ ঘটনায় মামলা করতে থানায় প্রায় ৭ ঘণ্টা ধরে উপস্থিত রয়েছেন নিহত জুবাইয়েদের বাবা, বড় ভাইসহ পরিবারের সদস্যরা। তবে এদিন রাত ১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত পরিবারের সদস্যরা মামলার প্রস্তুতি নিলেও থানায় ওসি না থাকায় বিলম্ব হয়। পরবর্তীতে ওসি আসলে মামলায় আসামি কমানোর পরামর্শ দেন তিনি।
মামলায় বিলম্বের বিষয়ে জানতে চাইলে বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘যে কয়েকজনের নামে মামলা দিতে চায় নেবো। তবে তাদের বলেছি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করে তারপর সিদ্ধান্ত নিতে।’
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
উল্লেখ্য, জোবায়েদ হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। একই সঙ্গে তিনি কুমিল্লা জেলা ছাত্র কল্যাণের সভাপতি ও শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য ছিলেন।
আমাদের সময়/এএস
