নেশার টাকা না পেয়ে দাদাকে খুন, থানায় আত্মসমর্পণ যুবকের

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
১৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৯:৪৬
শেয়ার :
নেশার টাকা না পেয়ে দাদাকে খুন, থানায় আত্মসমর্পণ যুবকের

বগুড়ার শেরপুরে নেশার টাকা না পেয়ে বৃদ্ধ দাদাকে লাটি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে নাতির বিরুদ্ধে। রোববার (১৯ অক্টোবর) সকাল সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামে ঘটেছে।

নিহত দাদা সাবান উদ্দিন ফকির (৭০) একই গ্রামের মৃত নবির উদ্দিনের ছেলে। অভিযুক্ত তার আপন নাতি মো. আশিক হোসেন ওরফে রানা (৩০) একই গ্রামের মো. আবু সাঈদ ওরফে সাইফুল ইসলামের ছেলে।

এদিকে নাতি আশিক দাদাকে হত্যার পর নিজেই শেরপুর থানায় আত্মসমর্পণ করেন। পরে শেরপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাদকাসক্ত রানা ঘটনার দিন সকাল আনুমানিক সাড়ে সাতটার দিকে নেশা করার জন্য তার দাদার কাছে টাকা চায়। তিনি টাকা না দেওয়ায় দাদাকে মারধর করে রানা। এতে বৃদ্ধের শরীরে বেশ কয়েক জায়গায় জখম হয়। এরপর দাদা প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়ার জন্য ছোনকা বাজারের দিকে রওনা দেন। পরে সকাল সাড়ে আটটার দিকে পথিমধ্যে আবারো নাতি রানা গাছের ডাল (লাটি) দিয়ে উপর্যুপরি মাথায় আঘাত করতে থাকে। এতে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়ে ঘটনাস্থলেই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। এ সময় আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে রানা দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে রানা শেরপুর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে।

এর প্রেক্ষিতে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মইনুদ্দিন, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জয়নুল আবেদিন, উপ পুলিশ পরিদর্শক জাহিদুল ইসলামসহ সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পরে হত্যাকাণ্ডের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় বলে থানা পুলিশ জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে নিহতের ছোট ভাই মো.মোহাম্মদ দুলাল হোসেন জানান, রানা সকালে তার বড় ভাই সাবান উদ্দিনের কাছে টাকা চায়। কিন্তু টাকা না দেওয়ায় সকালে প্রথম দফা তাকে মারধর করে রানা। এরপর সাবান চিকিৎসার জন্য বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন, এ সময় আবারও রানা লাঠি দিয়ে পিটিয়ে তাকে হত্যা করে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।

শেরপুর থানার ওসি এস এম মইনুদ্দিন জানান, রানা থানায় আত্মসমর্পণ এবং হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছেন। এই ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। 

আমাদের সময়/আরডি