বিইউপির শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, অভিযুক্ত যুবক গ্রেপ্তার

সাভার প্রতিনিধি
১৯ অক্টোবর ২০২৫, ১০:০১
শেয়ার :
বিইউপির শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, অভিযুক্ত যুবক গ্রেপ্তার

সাভারে বাসায় ফেরার পথে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় মিঠু বিশ্বাস নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১টায় তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় রাজধানীর তেজগাঁও থানার তেঁজকুনি পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জানা গেছে, গ্রেপ্তারকৃত মিঠু বিশ্বাস (৪৪) সাভারের কমলাপুর গোয়ালিও এলাকার এস রাফায়েলের ছেলে। 

গ্ৰেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মো. হেলাল উদ্দিন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) রাতে ভুক্তভোগী তরুণী বাদী হয়ে ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত মিঠু বিশ্বাসসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা নং-১৯ দায়ের করেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন সাভারের কমলাপুর গোয়ালিও এলাকার সোহেল রোজারিও (৩৭) ও বিপ্লব রোজারিও (৪০)।

মামলার এজাহার এবং পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী ওই তরুণী সাভারে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়ানো শেষে বাসায় ফিরছিলেন। বাসায় গিয়ে দেখেন তার মা বাসায় তালা দিয়ে পাশের এক চা-দোকানির কাছে চাবি রেখে গেছেন। পরে চা-দোকানির কাছ থেকে চাবি নিয়ে ফেরার পথে সোহেল রোজারিও মদ্যপ অবস্থায় তরুণীকে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন। কিছু দূর যাওয়ার পর সোহেলের সঙ্গে মিঠু বিশ্বাস ও বিপ্লব রোজারিও-এর দেখা হয়। এরপর তারা তিনজন মিলে ওই শিক্ষার্থীকে অনুসরণ করতে থাকেন।

পরে মেয়েটিকে গোয়ালপাড়া এলাকার একটি জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। পাশাপাশি এ বিষয়ে কাউকে জানালে ভুক্তভোগীকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয় ।

এ ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসে উঠেন স্থানীয়রা। জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে কমলাপুর গ্রামে বিক্ষোভ করে মুসুল্লিসহ এনসিপির যুব সংগঠন জাতীয় যুবশক্তির নেতা কর্মীরা। ২৪ ঘন্টার মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তারে দেওয়া হয় আলটিমেটাম।

সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল মিঞা বলেন, ‘ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত মিঠু বিশ্বাস পলাতক ছিলেন। তাকে তেজগাঁও থেকে গ্রেপ্তার করে সাভার মডেল থানায় আনা হয়েছে। বাকিদের ধরতে একাধিক স্থানে অভিযান চলছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে। গ্রেপ্তার আসামিকে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।’

আমাদের সময়/আরআর