পর্তুগালে নিকাবসহ বোরকা নিষিদ্ধে বিল পাস, আইন অমান্যে যে শাস্তি
জনসমক্ষে মুখ ঢাকা বোরকা (নিকাবসহ) পরা নিষিদ্ধ করার একটি বিল অনুমোদন করেছে পশ্চিম ইউরোপের দেশ পর্তুগালের পার্লামেন্ট। ‘লিঙ্গ বা ধর্মীয়’ কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।
বোরকা পরা সংক্রান্ত এই পদক্ষেপটির প্রস্তাব করেছিল দেশটির অতি-ডানপন্থী চেগা পার্টি। বেশিরভাগ জনসমক্ষে বোরকা এবং নিকাবের মতো পোশাক পরা নিষিদ্ধের পক্ষে তারা। যদিও বিমান, কূটনৈতিক প্রাঙ্গণ এবং উপাসনালয়ে এখনো মুখ ঢাকা বোরকা পরার অনুমতি থাকবে।
বিলটিতে বলা হয়েছে, জনসমক্ষে যারা মুখ ঢাকা বোরকা পরবে তাদেরকে ২০০ ইউরো থেকে ৪ হাজার ইউরো (১৭৫ পাউন্ড এবং ৩ হাজার ৪৭৫ পাউন্ড) পর্যন্ত জরিমানা নির্ধারণ করা হয়েছে।
পর্তুগিজ প্রেসিডেন্ট মার্সেলো রেবেলো ডি সুসা এখনো বিলটি অনুমোদন করেননি। তিনি এতে ভেটো দিতে পারেন অথবা পর্যালোচনার জন্য সাংবিধানিক আদালতে পাঠাতে পারেন।
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
আইনটি স্বাক্ষরিত হলে অস্ট্রিয়া, ফ্রান্স, বেলজিয়াম এবং নেদারল্যান্ডসের মতো ইউরোপীয় দেশগুলির পর পর্তুগাল হবে আরও একটি দেশ যেখানে মুখ এবং মাথা ঢেকে রাখার ওপর সম্পূর্ণ বা আংশিক নিষেধাজ্ঞা থাকবে।
পর্তুগালে খুব বেশি নারী বোরকার মতো পোশাক পরেন না, তবে ইসলামিক পর্দার বিষয়টি অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলোর মতো এখানেও আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
চেগা পার্টি পর্তুগালের মধ্য-ডানপন্থী দলগুলোর কাছ থেকে বিলটির পক্ষে সমর্থন পেয়েছে। তবে এতে দ্বিমত পোষণ করেছেন দেশটির বামপন্থী দলগুলোর আইনপ্রণেতারা।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
মধ্য-বাম সমাজতান্ত্রিক দলের আইনপ্রণেতা পেদ্রো দেলগাডো আলভেস বলেছেন, ‘এই আইন কেবল বিদেশিদের টার্গেট করার জন্যই করা হয়েছে, যাদের ধর্ম ভিন্ন (বিশেষত মুসলিম)। কাউকে পর্দা করতে বাধ্য করা উচিত নয়, তবে অতি-ডানপন্থী দলের দৃষ্টিভঙ্গি ভুল।’ আলভেসদের দল এই বিলের বিরুদ্ধে ভেটো দিয়েছে।