অভিযান তীব্র করার হুঁশিয়ারি /
জিম্মিদের মরদেহ খুঁজতে গাজায় ইসরায়েলি দল
যুদ্ধবিরতির মধ্যেই গাজা সিটিতে ফের অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েলের বিশেষ দল। মৃত জিম্মিদের বাকি ১৯টি মৃতদেহ ফেরত দেওয়ার জন্য হামাসের উপর চাপ বৃদ্ধি করবে তারা। এই উদ্দেশ্যে একটি টাস্ক ফোর্স ইতিমধ্যেই গাজায় প্রবেশ করেছে।
এএফপি’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েল ঘোষণা করেছে-হামাসের কাছে থাকা অবশিষ্ট ১৯ জন জিম্মির মরদেহ ফেরত পেতে চাপ বাড়ানো হবে।
হামাস দাবি করেছে, তারা এখন পর্যন্ত যে মরদেহগুলো ফেরত দিয়েছে, সেটিই তাদের হাতে থাকা একমাত্র মরদেহ। তবে ইসরায়েলের চ্যানেল ১২-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দেশটির এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘হামাসের কাছে ফেরত দেওয়ার মতো জিম্মিদের সংখ্যা এখনো দুই অঙ্কে রয়েছে।’
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
এদিকে চ্যানেল ১৩-এর এক অনিশ্চিত প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, অবশিষ্ট জিম্মিদের মরদেহ খুঁজে বের করতে একটি আন্তর্জাতিক অনুসন্ধান দল গাজা উপত্যকায় প্রবেশ করেছে। ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থার সরবরাহ করা তথ্যের ভিত্তিতে দলটি শিগগিরই তাদের অনুসন্ধান শুরু করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হামাস এখন পর্যন্ত মোট ৯ জন নিহত জিম্মির মরদেহ ইসরায়েলের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে। এটি তারা করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত গাজা শান্তি পরিকল্পনার প্রথম ধাপ গ্রহণের পর। ওই পরিকল্পনার অধীনে গত সোমবার গাজায় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর হাতে আটক থাকা শেষ জীবিত ২০ জন জিম্মিকেও মুক্তি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
তবে চুক্তিতে স্বীকার করা হয়েছে যে, কিছু জিম্মির মরদেহ তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার সম্ভব নাও হতে পারে।
হামাস জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কারের সরঞ্জাম না থাকায় তারা আপাতত আর কোনো মৃত জিম্মির মরদেহ ফেরত দিতে পারছে না। তবে এটি ইসরায়েলের মূল্যায়নের সঙ্গে সাংঘর্ষিক, কারণ এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা টাইমস অব ইসরায়েলকে জানিয়েছেন, হামাস চাইলে প্রাথমিক পর্যায়েই নিহত ২৮ জিম্মির বেশিরভাগের মরদেহ ফেরত দিতে সক্ষম।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
আমাদের সময়/এআই