বন্ধুকে গলাকেটে-কুপিয়ে হত্যা, ঘাতক বন্ধু গ্রেপ্তার
প্রবাসে চলে যাওয়া নিয়ে সমকামিতা বন্ধু ঘরের সিদ কেটে ভেতরে ঢুকে অপর বন্ধুকে কুপিয়ে ও গলাকেটে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) গভীর রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বিটঘর ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
জানা গেছে, নিহত ওমর ফারুক (২৩) ওই গ্রামের জাকির মিয়ার ছেলে। গ্রেপ্তারকৃত ঘাতক খাইরুল আমিন (২৫) একই গ্রামের চাঁন মিয়া খন্দকারের ছেলে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, খায়রুল ও ফারুক দুজনেই বাল্যকাল থেকে বন্ধু ছিল এবং দুজনের মধ্যে সমকামিতা চলে আসছিল। জীবিকা নির্বাহের কারণে ফারুক প্রবাসে পাড়ি দেবে, এই খবর পেয়ে কিছুদিন আগে ফারুক এবং খায়রুলের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়। এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে খাইরুল আমিন তার বন্ধু ফারুকের ঘরের সিদ কেটে ভিতরে ঢুকে। পরে তাকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করার সময় ফারুকের মা শব্দ শুনে ঘরে ঢুকলে ঘাতক খাইরুল ফারুকের মাকেও ছুরি দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। এরপর স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। পুলিশ ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে ঘাতক বন্ধু খাইরুল আমিনকে গ্রেপ্তার করে এবং তার ভাষ্যমতে খুন করা ছুরিটিও উদ্ধার করে।
এদিকে শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সকালে ঘাতক খাইরুলকে আদালতের সোপর্দ করেপ পুলিশ।
নিহতের মা রাহেলা বেগম বলেন, ‘আমি শব্দ শুনে ছেলের ঘরে ঢুকে দেখি খাইরুল আমার ছেলেকে মারছে। আমি চিৎকার করলে সে আমাকে ছুরি মেরে পালিয়ে যায়। আমি তার ফাঁসি চাই।’
নবীনগর থানার ওসি শাহীনুর ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘাতককে ছুরিসহ গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।’
আমাদের সময়/আরআর