তিস্তা বাঁচাতে ৫ জেলায় একসঙ্গে মশাল প্রজ্বলন

লালমনিরহাট প্রতিনিধি
১৭ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৩২
শেয়ার :
তিস্তা বাঁচাতে ৫ জেলায় একসঙ্গে মশাল প্রজ্বলন

তিস্তা মহাপরিকল্পনার দাবিতে আবারও উত্তাল উত্তরাঞ্চল। ‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ আন্দোলনের অংশ হিসেবে রংপুর বিভাগের পাঁচ জেলায় একযোগে ১১টি পয়েন্টে মশাল প্রজ্বলন কর্মসূচির উদ্বোধন হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লালমনিরহাট, রংপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধায় একই সময়ে এ কর্মসূচি পালিত হয়। আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক সাবেক উপমন্ত্রী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু এ কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন করেন।

প্রবাহিত ১৩০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে তিস্তা নদী রক্ষায় চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া আন্দোলনের তীব্রতা বেড়েই চলেছে। নীলফামারী, রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলা ভেদ করে বয়ে যাওয়া এই নদীর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা না হলে বৃহত্তর রাজনৈতিক আন্দোলন করা হবে- এমন হুশিয়ারি দিয়েছেন তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু।

তিনি বলেন, তিস্তা শুধু উত্তরাঞ্চলের নয়, বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণ। অবিলম্বে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ শুরু করতে হবে। জনগণ এখন তিস্তার ন্যায্য অধিকার আদায়ে রাস্তায় নেমেছে।

আলোচ্য কর্মসূচির সময় দুলু বলেন, তিস্তা সমস্যা কোনো স্থানীয় ইস্যু নয়; এটি একটি জাতীয় সমস্যা। দীর্ঘ ষোলো বছর এক ধরনের ফ্যাসিবাদী শাসন রংপুরের মানুষের বুকের ভেতরে জগদ্দল পাথরের মতো বসিয়ে দিয়েছে, তবু আমাদের কান্না থামেনি। তিনি আরও অভিযোগ করে জানান, তিস্তা মহাপরিকল্পনা নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে এবং সরকারের ধীরগতির কারণে জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হওয়ার আশঙ্কা আছে।

এর আগে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের পক্ষ থেকে লালমনিরহাটে গণমিছিল, গণসমাবেশ, পদযাত্রা ও স্মারকলিপি প্রদানসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়। স্থানীয়রা বলছেন, দীর্ঘদিনের অবহেলায় তিস্তার বুকে জেগে উঠছে অসংখ্য চর, ভাঙনে বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়ি ও কৃষিজমি। ফলে প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন লাখো মানুষ।

মশাল প্রজ্বলন কর্মসূচিতে অংশ নেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন, ছাত্র ও যুবসমাজের নেতাকর্মীরা। তাদের স্লোগান ছিল ‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই, তিস্তার ন্যায্য হিস্যা চাই’।