ফের ইলিয়াস কাঞ্চনের মৃত্যুর গুজব
ভালো নেই জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ও ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস কাঞ্চন। ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘ সাত মাস ধরে অসুস্থ তিনি। বর্তমানে এ অভিনেতা লন্ডনে চিকিৎসাধীন। এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে গেছে তার মৃত্যুর গুজব।
এ বিষয়ে শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য সনি রহমান গণমাধ্যমে জানান, ‘সম্প্রতি আমরা দেখতে পাচ্ছি বাংলা চলচ্চিত্রের অহংকার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাবেক সম্মানিত সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সভাপতি জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন সাহেবের অসুস্থতার খবর প্রকাশ হওয়ার পর থেকে কিছু অসাধু কনটেন্ট ক্রিয়েটররা ভুয়া ভিডিওর মাধ্যমে এই গুণী মানুষটির মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে যাচ্ছে। এতে আমরা চলচ্চিত্রের মানুষ যেমন বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছি তেমনি তার পরিবারের সদস্যরা এই বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘তিনি শারীরিক ভাবে অসুস্থ এবং লন্ডনে তিনি মেয়ের কাছে অবস্থান করে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। সুতরাং আমি ব্যক্তিগত ভাবে অনুরোধ করছি কেউ মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করে বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি করবেন না। আমি দেশবাসীর কাছে ইলিয়াস কাঞ্চন সাহেবের জন্য দোয়া প্রার্থনা করছি।’
আরও পড়ুন:
ওটিটি প্ল্যাটফরম আমার জন্য বেশ লাকি
এর আগেও ইলিয়াস কাঞ্চনের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে তার ছেলে মিরাজুল মইন জয় এক বার্তায় দেশবাসীকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ছিলেন।
জয় বলেন, বাবা বর্তমানে অসুস্থ এবং চিকিৎসাধীন আছেন। নিয়মিত তার চিকিৎসা চলছে। দয়া করে কেউ কোনো গুজবে কান দেবেন না। দেশবাসীসহ সবার কাছে অনুরোধ করছি, আপনারা বাবার দ্রুত সুস্থতার জন্য দোয়া করবেন।
আরও পড়ুন:
নানাকে নিয়ে পরীর আবেগঘন পোস্ট
তিনি আরও বলেন, বাবার অসুস্থতার খবর প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে দেশ-বিদেশে নিরাপদ সড়ক চাই-এর কর্মী, বাবার ভক্ত এবং সাধারণ মানুষ যে আন্তরিকভাবে দোয়া করছেন, বিশেষ করে শুক্রবার জুম্মার নামাজে বিভিন্ন স্থানে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছেন- এ জন্য আমরা পরিবারের পক্ষ থেকে সবার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা জানাই।
অভিযোগ করে জয় বলেন, দুঃখজনকভাবে, কিছু ইউটিউবার ও ফেসবুক ব্যবহারকারী সামান্য ভিউয়ের আশায় বিভ্রান্তিকর ভিডিও প্রকাশ করছেন। এগুলো জনমনে আঘাত হানছে এবং বাবার ভক্তদের কষ্ট দিচ্ছে। আমরা এসব কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানাই।
আরও পড়ুন:
‘এভাবে বিয়ে করা নাকি অর্থহীন’
আমাদের সময়/কেইউ
