টেকনাফে দফায় দফায় গোলাগুলি, আতঙ্কে বাসিন্দারা

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১৫:৪৬
শেয়ার :
টেকনাফে দফায় দফায় গোলাগুলি, আতঙ্কে বাসিন্দারা

কক্সবাজারের টেকনাফে পাহাড়ি সংলগ্ন এলাকা রঙিখালীতে দুই অস্ত্রধারী গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্বে দফায় দফায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে রাতভর থেমে থেমে গুলির শব্দে এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

‎বুধবার (১৫ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে থেমে থেমে টানা ৩ ঘণ্টা উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের রঙিখালী ও উলুচামারি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

‎স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ দিন ধরে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা পাহাড়ি সংলগ্ন এলাকা রঙিখালি, উলুচামারিতে আধিপত্যের দ্বন্দ্বে নিয়ে সেখানকার একাধিক বন্দুকধারী, ডাকাত, মাদক কারবারি, অপহরণকারীরাসহ দুর্বৃত্তদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এসব বিরোধকে কেন্দ্র করে এর আগে দুপক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।

‎সবর্শেষ বুধবার রাতে উলুচামারির বাসিন্দা ‘লাশ জালাল গ্রুপ’ ও আনোয়ার এবং মিজানের নেতৃত্বাধীন গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি চলে। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। লাশ জালাল ও আনোয়ার এবং মিজানদের এই অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে মাদক, অপহরণ, ডাকাতিসহ একাধিক মামলা আছে বলে জানিয়েছেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।

‎উলুচামারির বাসিন্দা রহিম উল্লাহ বলেন, ‘বুধবার রাতে খাওয়া দাওয়া শেষে ঘুমিয়ে পড়লে হঠাৎ গুলির শব্দে রাত ১১ টার দিকে ঘুম ভেঙে যায়। মনে করছিলাম মিয়ানমার সীমান্তে গোলাগুলি হচ্ছে। পরে খোঁজ নিয়ে দেখি, এলাকার দুই বন্দুকধারী বাহিনীর মধ্যে গোলাগুলি চলছে। রাতভর আনুমানিক উভয়ের মধ্যে ৩-৪ শতাধিক রাউন্ড গুলির ফায়ার হয়েছে। মানুষ খুব আতঙ্কে আছে।’

উলুচামারির বাসিন্দা হাসিনা বেগম জানান, ‘রাতভর গোলাগুলির বিকট শব্দে ঘুমাতে পারেনি। ছেলে-মেয়েরা ভয়ে কাঁপছে। এমন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে আমরা আতঙ্কে আছি।’

উলুচামারির বাসিন্দা আবুল কাশেম জানান, ‘পাহাড় লাগোয়া হওয়ায় রঙিখালি ও উলুচামারি গ্রাম অপরাধীদের নিরাপদ আশ্রয়ে পরিণত হয়েছে। পাহাড়ি ডাকাত, অপহরণকারী ও মাদক কারবারিরা অপরাধের পর সহজেই পালিয়ে পাহাড়ে লুকিয়ে থাকে।’

‎বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জায়েদ নূর জানান, ‘গোলাগুলির ঘটনাটা জেনেছি। এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে পুলিশ অতি শীঘ্রই তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে এবং আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।’


আমাদের সময়/আরডি