জুবিন হত্যার বিচারের দাবিতে উত্তাল আসাম
আসামের রাজপুত্র খ্যাত গায়ক জুবিন গার্গের মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা কাঁটছেই না। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সিঙ্গাপুরে স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়ে মারা যান তিনি। গায়কের ভক্তদের দাবি তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে গায়কের ব্যান্ডের দুই সদস্য, তার দেহরক্ষী এবং সিঙ্গাপুরের ফেস্টিভেল আয়োজক এবং এক আত্মীয়কে গ্রেপ্তার করেছে আসাম পুলিশ।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) গ্রেপ্তারকৃতদের আসামের বকসা জেলা কারাগারে নেয়া হয়। আসামীদের কারাগারে নেওয়ার খবর প্রকাশ হওয়া মাত্রই কারা ফটকে জড়ো হন গায়কের ভক্তরা। অভিযুক্তদের নিয়ে পুলিশ ভ্যান যখন বকসা জেলা কারাগারে পৌঁছায় তখন জুবিনের হত্যার বিচারের দাবিতে নানা স্লোগান দিতে থাকেন অনুরাগীরা।
স্লোগান দিতে দিতে পুলিশ ভ্যানকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুঁড়তে শুরু করেন উৎসুক জনতা। এতে পুলিশ ভ্যানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। উত্তেজিত জনতা একটি পুলিশের গাড়িতে আগুন দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রথমে লাঠিচার্জ পরে ফাঁকা গুলি এবং টিয়ার গ্যাস ছোঁড়া হয়।
আরও পড়ুন:
ওটিটি প্ল্যাটফরম আমার জন্য বেশ লাকি
বিক্ষোভের জেরে কারাগারের আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ইন্টারনেট ও মোবাইল পরিষেবাও সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়। কারাগারে আশেপাশে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি ঠেকাতে ১৬৩ ধারা জারি করা হয়েছে।
বকসা জেলা কারাগার এলাকায় মোতায়েন রয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স (আরএএফ)-এর সদস্যরা। নতুন করে কোনো ধরণের ঝামেলা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
নানাকে নিয়ে পরীর আবেগঘন পোস্ট
জুবিনের মৃত্যুর পর সিঙ্গাপুর পুলিশ জানায় তার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। পরবর্তীতে গায়কের স্ত্রী গরিমা ও অনুরাগীরা দাবি করেন, তার মৃত্যুর পেছনে ষড়যন্ত্র লুকিয়ে রয়েছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আসাম সরকার একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT) গঠন করে।
এদিকে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বুধবার বকসার ঘটনাকে অত্যন্ত দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ‘কিছু রাজনৈতিক দল জুবিনের মৃত্যুকে ঘিরে রাজ্যে অশান্তি ছড়াতে চেষ্টা করছে। যারা হিংসা উসকে দিচ্ছেন তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’
আরও পড়ুন:
‘এভাবে বিয়ে করা নাকি অর্থহীন’
আমাদের সময়/কেইউ