এক্সপ্রেসওয়ের ভাঙ্গা গোলচত্বর ফের অন্ধকার হয়ে পড়েছে

দুই মাস ধরে জ্বলছে না সড়কবাতি

সুমন ইসলাম, ফরিদপুর
১৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:৫৫
শেয়ার :
এক্সপ্রেসওয়ের ভাঙ্গা গোলচত্বর ফের অন্ধকার হয়ে পড়েছে

ফের অন্ধকার হয়ে পড়েছে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের ভাঙ্গা গোলচত্বর এলাকা। সপ্তাহ তিনেক আগে বৈদ্যুতিক সাবস্টেশনের যন্ত্রাংশ পুড়ে যাওয়ায় চত্বরের সড়কবাতি বন্ধ রয়েছে। একটি জেনারেটর দিয়ে ১০-১৫ মিনিট করে সড়কবাতিগুলো জ্বালানো হয়। এভাবে পুরো রাতে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা আলোর দেখা মেলে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলেছেন, বিষয়টি সমাধানে তাঁরা কাজ করছেন।

সড়কবাতি গোল চত্বর থেকে ভাঙ্গা টোল প্লাজা পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার এলাকা সন্ধ্যা নামলেই অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছে। স্থানীয়রা বলেছেন, একবার সমাধান করার কিছুদিন পর আবার একই সমস্যা দেখা দেয়। বৈদ্যুতিক তার, লাইট ও অন্যান্য সরঞ্জাম চুরি যাওয়ার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও সমন্বয়হীনতাকে এ জন্য দায়ী করছেন তাঁরা। দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম প্রবেশদ্বারটিতে চুরি-ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

কোর্ট পাড়ের বাসিন্দা সাইদুল শেখ বলেন, ‘পুরো এলাকায় সন্ধ্যার পর রাতভর বিদ্যুতের আলো জ্বলে না।’ ইন্টারচেঞ্জ এলাকায় কর্মরত নৈশপ্রহরী আক্কাছ মোল্লা জানান, লাইটগুলো সবসময় না জ্বলায় প্রায়ই চুরি-ছিনতাইয়ের কথা শুনছেন। তবে তাঁর সামনে কখনও এমনটি ঘটেনি।

ভাঙ্গা ইন্টারচেঞ্জ বৈদ্যুতিক সাব-স্টেশনের নৈশপ্রহরী সিরাজ খান জানান, ২০ থেকে ২৫ দিন আগে স্টেশনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম পুড়ে যায়। তাই জেনারেটর দিয়ে সড়কবাতি জ্বালানো হচ্ছে। এটি দিয়ে প্রতিদিন রাতে কমপক্ষে দুই থেকে তিন ঘণ্টা লাইট জ্বালানো হয়।

ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ওজোপাডিকো) ভাঙ্গা আবাসিক প্রকৌশলী সাইদুর রহমান জানান, গত কয়েক বছরে একাধিকবার বিদ্যুতের বিল সময়মতো পরিশোধ না হওয়ায় ইন্টারচেঞ্জ এরিয়ার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। বর্তমানেও দুই থেকে তিন মাসের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে। তবে ইন্টারচেঞ্জ সাব-স্টেশনে তাদের বিদ্যুৎ সংযোগ চালু আছে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগেরর শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) উপবিভাগীয় প্রকৌশলী এমএম হানিফ জানান, ইন্টারচেঞ্জ এলাকার বিদ্যুতের তার ও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে বিভিন্ন

সরঞ্জাম চুরি হয়ে যাওয়ায় বেশির ভাগ সময়ে ইন্টারচেঞ্জ এরিয়ার সড়কবাতিগুলো জ্বালানো সম্ভব হচ্ছে না। গত ২০ থেকে ২৫ দিন ধরে একটি জেনারেটর দিয়ে ইন্টারচেঞ্জ এলাকার ২৮৫টি সড়কবাতি জ্বালানো হচ্ছে। শিগরিরই ই সাব-স্টেশনের গোলযোগের সমাধান করা হবে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট কোরিয়ান কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।

ভাঙ্গা থানার ওসি আশরাফ হোসেন বলেন, অপরাধ প্রতিরোধে ইন্টারচেঞ্জ এলাকা সিসিটিভির আওতায় আনতে হবে। মানুষের সচেতনতা বাড়ানোর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টে ‘ছিনতাইপ্রবণ এলাকা বলে’ সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড ব্যবহার ও মাইকিং করতে হবে। ইন্টারচেঞ্জ এরিয়ায় এসব অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা প্রতিরোধে রাতে পুলিশের টহল আরও জোরদার করা হবে বলে জানান তিনি।