ভাবিকে হত্যার ১০ বছর পর ভাতিজিকেও খুন
বরগুনার তালতলী উপজেলায় ভাবি তানিয়া বেগমকে গলা কেটে হত্যার ১০ বছর পর এবার ভাতিজি নাহিল আক্তারকে পিটিয়ে হত্যা করেছে চাচা হাবিব ওরফে হাবিল খান। ঘটনার পরপরই হাবিলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের ইদুপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রাত ১১টার দিকে নিহতের বাবা মো. দুলাল খান বাদী হয়ে তালতলী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত হাবিব ওরেফে হাবিল খান মামলার বাদী দুলাল খানের আপন ছোট ভাই। তারা একই বাড়িতে বসবাস করতেন। তবে হাবিব নেশাগ্রস্ত থাকায় প্রায় সময়ই পরিবারের সদস্যদের গালিগালাজ করাসহ মারধর করতেন। ঘটনার দিন
মঙ্গলবার দুপুরে নাহিল বাড়ির সামনে একটি মুদি দোকানে রুটি কিনতে যায়। এ সময় হঠাৎ হাবিব পিছন থেকে এসে একটি লাঠি দিয়ে নাহিলের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে। এসময় নাহিল মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক বাবা দুলাল খান ও স্বজনরা শিশুটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে আশঙ্কাজনক হওয়ায় বরিশাল শেরেবাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
হাবিল খান এর আগে ২০১৫ সালের আগস্ট মাসে বড় ভাই দুলাল খানের প্রথম স্ত্রী তানিয়া বেগমকে গলা কেটে হত্যা করেন। ওই মামলায় শিশু আইনে তার ৯ বছর সাজা হয়। সাজা ভোগ শেষে ২০২৪ সালের শুরুর দিকে জামিনে মুক্তি পান। ভাবিকে হত্যার ১০ বছর পর ঘাতক হাবিল দুলাল খানের দ্বিতীয় স্ত্রী ফাহিমা আক্তারের মেয়ে নাহিলকে পিটিয়ে হত্যা করে।
নিহতের বাবা দুলাল খান কান্নাজনিত কণ্ঠে বলেন, ও আমার জীবনটা শেষ করে দিয়েছে। ২০১৫ সালে আমার প্রথম স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করেছে। তখন ওর বয়স ছিল ১৭ বছর। শিশু আইনে ৯ বছর সাজা ভোগ করে ২০২৪ সালের প্রথম দিকে জামিনে মুক্তি পায়। জামিনে মুক্তি পাওয়ার দেড় বছরের মাথায় আমার শিশুকন্যাকে পিটিয়ে হত্যা করল। আমার শিশুকন্যা কী অপরাধ করেছিল? আমি এর বিচার চাই।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. টুকু শিকদার ও সালাম হাওলাদার বলেন, হাবিলকে ধাওয়া করলে একটি বাড়িতে আশ্রয় নেয়। পরে পুলিশ এসে তাকে গ্রেপ্তার করে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজালাল।