‘পতিত সরকারের বিচার না করে সেফ এক্সিট নয়’
এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম সেফ এক্সিট প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘সেফ এক্সিট বলতে আপনারা যেভাবে বুঝছেন, বিষয়টি ঠিক তেমন নয়। আমরা বলতে চাচ্ছি, খুনি ও পতিত সরকারের রাঘববোয়ালদের বিচারের মুখোমুখি না করে যেন কেউ সেফ এক্সিট নিতে না পারে।’
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) নেত্রকোনা পৌর শহরের একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, ‘আপনারা বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিক্রমায় দেখেছেন বিএনপি এককভাবে সরকার গঠন করতে পারেনি। আবার জামায়াতও দীর্ঘদিন রাজনীতি করেও বৃহৎ পরিসরে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করতে পারেনি। সে ক্ষেত্রে এনসিপি বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিক্রমায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। কারণ, গণ-অভ্যুত্থানের সময় এনসিপি একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে ছিল।’
পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের প্রভাব- প্রতিপওি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, ভারতীয় যে আধিপত্যবাদ রয়েছে, তা বিএনপি ও জামায়াত তাদের অবস্থান থেকে প্রত্যাশা অনুযায়ী মোকাবিলা করতে পারবে না। সে ক্ষেত্রে এনসিপি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে। আমরা একটি স্থিতিশীল সরকার চাই, যা এনসিপির সহযোগিতা ছাড়া সম্ভব নয়।’
নির্বাচন বিষয়ে এনসিপির অবস্থান বিষয়ে এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘আমরাও চাই দ্রুত নির্বাচন হোক। যারা অভ্যুত্থানের চেতনায় সংস্কারের জন্য কাজ করবে, বিচারিক প্রক্রিয়াকে অব্যাহত রাখবে এবং বাংলাদেশের পরিবর্তনের জন্য কাজ করবে, আমরাও তাদের সঙ্গে নির্বাচনী জোটে যেতে পারি।’
দলের শাপলা প্রতীক পাওয়া না পাওয়া নিয়ে এনসিপির অবস্থান কী হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে সারজিস বলেন, ‘আমরা আশা করছি, শাপলা প্রতীক আমরা পাবই এবং আগামী নির্বাচনে শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে অংশ নেব।’
তিনি সেনাবাহিনীর বর্তমান পরিস্থিতির বিষয়ে বলেন, সেনাবাহিনীর ‘কিছু অফিসারকে ব্যবহার করে শেখ হাসিনা অসংখ্য গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। আয়না ঘরের মতো অসংখ্য নির্মমতা আমরা দেখেছি। শুধু একজন অফিসার অসংখ্য মানুষকে হত্যা করেছে, এ রকম তথ্যও আমরা ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা প্রতিবেদনের মাধ্যমে জেনেছি। এসব সিরিয়াল কিলারদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। আমরা আশা করব, সেনাবাহিনী এসব খুনির দায়ভার গ্রহণ করবে না।’
পরে সারজিস আলম নেত্রকোনা জেলা ও উপজেলা এনসিপির সমন্বয় কমিটির নেতাদের সঙ্গ একই স্থানে এক সমন্বয় সভায় অংশ নেন। এসময় দলটির ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকিন আলম, কেন্দ্রীয় সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) প্রীতম সোহাগ, কেন্দ্রীয় সদস্য ফাহিম খানসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।