সড়ক দুর্ঘটনায় মোহনগঞ্জ বিএনপি নেতার সহধর্মিণী নিহত
ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা আঞ্চলিক সড়কে বাস ও প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষে মোহনগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক টিপু সুলতানের সহধমির্ণী নার্গিস আক্তার (৪৫) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিন যাত্রী।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। সড়ক দুঘর্টনায় টিপু সুলতানসহ মা রাবেয়া খাতুন আহত ও তার সহধর্মিণীর মৃত্যুতে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর এক শোক বার্তায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
এদিকে মরহুমার মৃত্যুতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মোহনগঞ্জ উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দ গভীর শোক ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
এ দুর্ঘটনায় টিপু সুলতান, তার মা এবং প্রাইভেটকার চালক গুরুতর আহত হন। বর্তমানে চালক আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
পরিবার সূত্র জানায়, সোমবার দুপুরে মা রাবেয়া খাতুনের নিয়মিত চিকিৎসা শেষে ময়মনসিংহ থেকে প্রাইভেটকারে মোহনগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা হন টিপু সুলতান। পথিমধ্যে গৌরিপুর উপজেলার গাছতলা এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা ময়মনসিংহ মহুয়া নেত্রকোনা নামের গেইটলক বাসের সঙ্গে প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে প্রাইভেটকারটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। গাড়িতে থাকা সবাই গুরুতর হন। আহতদের দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলে সন্ধ্যায় নার্গিস আক্তারের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। পরে তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। পরে রাত পৌনে আটটার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়।
টিপু সুলতান মোহনগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদ্য সাবেক সদস্য সচিব ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক। বর্তমানে তিনি ও তার মা আশঙ্কামুক্ত হলেও প্রাইভেটকার চালকের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।
আমাদের সময়/আরআর