ঠেলার নাম বাবাজি: শিক্ষক নেতা দেলোয়ার
এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজী বলেছেন, ‘শিক্ষকরা যখন প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নিলেন, তখন আপনারা ডাকলেন, আমরা গেলাম। বললেন-অর্থ উপদেষ্টা ও সচিব দেশে নেই, সেজন্য নাকি অপেক্ষা করতে হবে। অথচ আজকে উপদেষ্টা-সচিব ছাড়াই বৈঠকে বসেছেন বলে জানতে পারলাম। ঠেলার নাম বাবাজি!’
প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘উপদেষ্টা-সচিব ছাড়াই যদি বৈঠকে বসতে পারেন, তাহলে হাজার হাজার শিক্ষকদের তিনটা দিন কেন রাস্তায় রাখলেন?’
মঙ্গলবার রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শিক্ষকদের চলমান অবস্থান কর্মসূচিতে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজী বলেন, ‘শুনতে পাচ্ছি কিছুটা কম বাড়িভাড়ি বাড়িয়ে শিক্ষকদের কোনোমতে থামাতে চাচ্ছেন। এটা শিক্ষকরা মানবে না। ছয় লক্ষাধিক শিক্ষক পরিবারের সঙ্গে বিদ্রোহ করবেন? দেখি কার কত বড় ক্ষমতা। স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, ২০ শতাংশ মানে ২০ শতাংশই, ১৫০০ মানে ১৫০০-ই, ৭৫ শতাংশ মানে ৭৫ শতাংশ। ১৯-এও হবে না, ১৪৯৯-এও হবে না, ৭৪-এও হবে না। যদি উল্টাপাল্টা সিদ্ধান্ত নেন, এ আন্দোলন সারাদেশে ছড়িয়ে পড়বে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুই মন্ত্রণালয় আজ মিটিংয়ে বসছে। শিক্ষকদের আন্দোলন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়া যাবে না।’
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
অধ্যক্ষ আজিজী বলেন, ‘গতকাল থেকে সারাদেশের প্রত্যেকটি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কঠোরভাবে কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অচল ও স্থবির হয়ে পড়েছে। আমাদের কোনো শিক্ষক-কর্মচারী শ্রেণি-পাঠ্যক্রমে অংশগ্রহণ করবে না।’
এদিকে, পূর্বঘোষণা অনুযায়ী সচিবালয় অভিমুখে ‘লং মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি করতে সকাল থেকেই শিক্ষকরা প্রস্তুতি নেন। এর মধ্যে খবর আসে সরকার এ বিষয়ে কিছুটা সময় চেয়েছে। ফলে শিক্ষকরা মন্ত্রণালয় থেকে চূড়ান্ত তথ্যের জন্য লং মার্চ কর্মসূচি কিছুটা দেরিতে শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন।