একযুগ পর ‘ডাকঘর’
দীর্ঘ দুই যুগের বেশি সময় ধরে নাট্যাঙ্গন মাতিয়ে রেখেছে নাট্যদল ‘পালাকার’। নানা বিষয়-বৈচিত্র্যে নিরীক্ষাধর্মী নাটক তাদেরকে স্বতন্ত্র পরিচয় এনে দিয়েছে। এবার একযুগেরও বেশি সময় পর মঞ্চে ফিরছে দলটির প্রশংসিত প্রযোজনা ‘ডাকঘর’। চলতি সপ্তাহে ৩টি প্রদর্শনীর মধ্যদিয়ে এর শততম মঞ্চায়ন উদযাপিত হবে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচনা অবলম্বনে ডাকঘর নাটকের নির্দেশনা দিয়েছেন শামীম সাগর। আগামী ১৬ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টা এবং ১৭ অক্টোবর বিকেল ৫টা ও সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে নাটকটির মঞ্চায়ন হবে। ডাকঘর নাটকের দৈর্ঘ্য ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট।
গল্পে দেখা যাবে, শরতে প্রাণের উৎসবে মেতেছে ছেলের দল। এর মাঝেই গগন হরকরার গানে উদাসী সুর বাজে, সঙ্গে বাজে মাধবদত্তের হৃদয়। কবিরাজের চেষ্টা মাধবের হৃদয়কে বাঁধতে পারে না। মুক্তপ্রাণের কলরবকে সঙ্গী করে হাজির হয় ঠাকুরদা। বদ্ধ প্রাণের প্রতি বড় বিরূপ আচরণ তার। ঠাকুরদা চলে গেলে মাধবের প্রাণ প্রতিষ্ঠা পায় পাখিরূপে। আর এই প্রাণ পাখির রূপান্তরই অমল। স্বপ্নচারী অমলের মুক্ত হওয়ার আকুতি অসীম। মাধবের ভেতরের রুদ্ধ অমল মুক্তির প্রতীক্ষায় কখনও কাঁদে, কখনও গল্পের ঝুলি সাজায়।
আরও পড়ুন:
ওটিটি প্ল্যাটফরম আমার জন্য বেশ লাকি
অমল আর মাধবের মাঝে কখনও জমে ওঠে খুনসুটি, আবার কখনও দুজনের রূপান্তর ঘটে দুই সত্তায়- যার একজন নিরেট বাস্তববাদী আর অন্যজন সওয়ার হতে চায় কল্পনার ঘোড়ার পিঠে। তারপর স্বপ্নবিলাসী ঠাকুরদা দইওয়ালা, প্রহরী, আবার কখনো ফকির হয়ে এসে সহস্র স্বপ্নের ফসল বুনে চলে অমলের সরল মনের জমিনে। কখনও অমল স্বপ্ন দেখে, আবার কখনও স্বপ্নে ভাসিয়ে দেয় ঠাকুরদাকে। এ খেলা জমতে থাকে শেষাবধি।
পালাকার নাট্যদলের ফেসবুক পেজে জুড়ে দেওয়া লিংক থেকে নাটকটির টিকিট সংরক্ষণ করা যাবে। এ ছাড়াও মঞ্চায়নের আগে শিল্পকলা একাডেমির প্রধান ফটক সংলগ্ন কাউন্টারে টিকিট পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন:
নানাকে নিয়ে পরীর আবেগঘন পোস্ট
নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফেরদৌসী শর্মী, ফরহাদ লিমন, সুমন, আশিক, শুভ, নাহিদা শারমীন, নাহরিন, ইকতারুল, তুহিন, সেতু, শাহজাহান, পিটার, রবিন ও আমিনুর রহমান মুকুল। মঞ্চ পরিকল্পনা করেছেন আমিনুর রহমান মুকুল। আলোক পরিকল্পনায় জুনায়েদ ইউসুফ, কোরিওগ্রাফিতে সুমি ডরথী রোজারিও এবং বেশভূষা পরিকল্পনায় রয়েছেন নাহিদা শারমিন ও চারু পিন্টু।