ক্ষুদ্রঋণ ইস্যু /
জিবুতির প্রধানমন্ত্রীকে যে পরামর্শ দিলেন ড. ইউনূস
ইতালির রোমে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন জিবুতির প্রধানমন্ত্রী আব্দুলকাদির কামিল মোহাম্মদ। এ সময় ক্ষুদ্রঋণ কৌশল গ্রহণে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করলে তাকে একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে পাঠানোর পরামর্শ দেন ড. ইউনূস।
বিশ্ব খাদ্য ফোরামের ফাঁকে গতকাল সোমবার জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) সদরদপ্তরে তাদের এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
সাক্ষাৎকালে দুই নেতা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি, জিবুতিতে বাংলাদেশের সফল ক্ষুদ্রঋণ মডেল প্রয়োগ, আঞ্চলিক ভূ-রাজনীতি এবং রোহিঙ্গা সংকটসহ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
জিবুতির প্রধানমন্ত্রী অধ্যাপক ইউনূসের প্রশংসা করে বলেন, ‘তিনি জিবুতিতে সুপরিচিত এক নাম।’ তিনি প্রধান উপদেষ্টাকে পূর্ব আফ্রিকার এই দেশটি পরিদর্শনের জন্য আমন্ত্রণ জানান।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
একই সঙ্গে ক্ষুদ্রঋণ কৌশল গ্রহণে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করে জিবুতির প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ক্ষুদ্রঋণ বিষয়ে আমাদের আপনার পরামর্শ প্রয়োজন।’
জবাবে ড. ইউনূস এই আগ্রহকে স্বাগত জানান এবং জিবুতিকে একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে পাঠানোর পরামর্শ দেন। তার মতে, প্রতিনিধিদলটি বাংলাদেশে এসে এখানকার ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম সরাসরি অভিজ্ঞতা নিতে পারবে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশের ক্ষুদ্রঋণ পরিচালনাকারী সংস্থাগুলো সারা বছর প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে, যা পরিদর্শক কর্মকর্তাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী হতে পারে।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
সাক্ষাতে ড. ইউনূস দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণের বিশাল সম্ভাবনার ওপর জোর দেন। তিনি প্রস্তাব করেন যে, জিবুতি অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক ও ওষুধ আমদানি করতে পারে।
বৈঠকে জিবুতির ক্ষুদ্রঋণ বিষয়ক মন্ত্রীও উপস্থিত ছিলেন। তিনি ক্ষুদ্রঋণ ব্যবস্থা বাস্তবায়নের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে পরামর্শ চান।
এ সময় বাংলাদেশের পক্ষে খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, এসডিজি সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং পররাষ্ট্র সচিব আসাদ আলম সিয়াম উপস্থিত ছিলেন।