যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার পরবর্তী পদক্ষেপ
চুক্তি অনুযায়ী, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পূর্ণ প্রত্যাহার হামাসের নিরস্ত্রীকরণের ওপর নির্ভরশীল। এতে কিছুটা সুযোগ থেকে যাচ্ছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর জন্য-যাতে তিনি বলতে পারেন, ইসরায়েল এখনো প্রয়োজনে যুদ্ধ পুনরায় শুরু করার স্বাধীনতা রাখে।
হামাসের প্রধান আলোচক খালিল আল-হাইয়া গত সপ্তাহে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীরা হামাসকে নিশ্চয়তা দিয়েছে যে এই চুক্তির অর্থ “যুদ্ধ স্থায়ীভাবে শেষ হয়েছে,” এটি কোনো অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি নয়। তবে সেই নিশ্চয়তা কীভাবে বা কোন রূপে দেওয়া হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়।’
ব্রিটিশ থিংক ট্যাঙ্ক রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইনস্টিটিউটের মধ্যপ্রাচ্য নিরাপত্তা বিষয়ক সিনিয়র গবেষণা ফেলো বুরচু ওজচেলিকের মতে, এখনো বড় প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে-হামাসের ভবিষ্যৎ কী হবে?
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
তিনি সিএনএনকে বলেন, ‘এখন যা দেখা যাচ্ছে, তা ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার এক সম্ভাব্য পথের মতো... কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রে হামাসের কোনো স্থান দেখা যাচ্ছে না। হামাস এ বিষয়ে কতটা রাজি হবে এবং আগামী সপ্তাহ ও মাসগুলোতে কতটা বাস্তবায়নে অংশ নেবে-এটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।’
ওজচেলিক আরও বলেন, ‘আমার ধারণা, ইসরায়েল তার জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে গাজায় কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার অধিকার বজায় রাখবে-যদি তারা মনে করে যে তাদের নিরাপত্তা বা সীমান্ত এলাকায় কোনো বাস্তব হুমকি রয়েছে। তবে একই সঙ্গে গাজায় একটি শাসনব্যবস্থা থাকা জরুরি। সেখানে নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে হবে এবং মৌলিক সেবাদান ও জরুরি মানবিক সহায়তা বিতরণের ব্যবস্থাও থাকতে হবে।’
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
তিনি আরও বলেন, ‘অন্যান্য আঞ্চলিক খেলোয়াড়দের এই পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার আশা করা হচ্ছে, বিশেষ করে মিশর এবং তুরস্ক। আমি মনে করি আপাতত, সমস্ত পক্ষই ট্রাম্পের পরিকল্পনা কার্যকর করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছে।’